রাবি শিক্ষার্থীকে মেরে শিবির বলে চালিয়ে দেওয়ার হুমকির ঘটনায় তদন্ত কমিটি

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী কৃষ্ণ রায়কে মেরে শিবির বলে চালিয়ে দেওয়ার হুমকির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল প্রশাসন। বুধবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন।
তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে হলের আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক অনুপম হীরা মণ্ডলকে। কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন আবাসিক শিক্ষক তানজিল ভূঞা ও রায়হান গফুর।
এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী গত মঙ্গলবার রাতে একটি অভিযোগপত্র দিয়েছে। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত রোববার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলে আটকে রেখে কৃষ্ণ রায়কে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে হল শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে মেরে ‘শিবির’ বলে চালিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয় ওই শিক্ষার্থীকে। অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সোলাইমান। এ ঘটনায় গতকাল রাতে হল প্রাধ্যক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ‘রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম ইসলামের সাত-আটজন অনুসারী আমার রুমে এসে আমাকে বের হয়ে যেতে হুমকি দেয়। আমি রাজি না হলে আমার বিছানাপত্র ফেলে দিয়ে আরেকজনকে তুলে দেয় তারা। এ সময় সোলাইমান নামে এক ছাত্রলীগ নেতা আমাকে মারধর করে। এরপর আমাকে সাধারণ সম্পাদক নাঈম ইসলামের রুমে নিয়ে মারধর ও মানসিক নির্যাতন করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম বলেন, “তোকে মেরে শিবির বলে চালিয়ে দেব।” কিন্তু আমি হিন্দু জানার পর বলেন, “এখন তো তোকে মেরে ফেললেও কেউ কিছু করতে পারবে না।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩ | সময়: ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ