জয়পুরহাটে লাখ টাকা নিয়ে ধরা পড়ল দুই ছিনতাইকারী

সানশাইন ডেস্ক : জয়পুরহাট রেলগেট এলাকায় ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় এক লাখ টাকাসহ ধরা পড়লেন দুই ছিনতাইকারী। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁদের ধরে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রভাষক অমিত কুমার চৌধুরী বাদী হয়ে রাতে সদর থানায় মামলা করেন।
আটক দুই ছিনতাইকারী হলেন শাহেদ ব্যাপারী (২৬) ও মো. রোহান (২৫)। তাঁদের দুজনের বাড়ি বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায়। তাঁরা দুজন বন্ধু। হকারির আড়ালে সময় সুযোগ বুঝে তাঁরা ছিনতাইসহ লোকজনের পকেট মারতেন বলে জানায় পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সোনালী ব্যাংকের জয়পুরহাট প্রধান শাখা থেকে তিন লাখ টাকা তুলে কোটের পকেটে রাখেন প্রভাষক অমিত কুমার চৌধুরী। ব্যাংকের ভেতরেই গ্রাহক সেজে বোরকা পরা এক নারী তাঁকে টার্গেট করেন। যখন অমিত কুমার ব্যাংক থেকে বের হোন, তখন ওই নারী কাউকে ফোন করছিলেন। এতে ব্যাংকের ভেতরে সাদাপোশাকে থাকা পুলিশের সন্দেহ হয়। প্রভাষকের সঙ্গে ওই নারীও ব্যাংক থেকে বের হোন। তাঁদের অনুসরণ করেন সাদাপোশাকের পুলিশ। প্রভাষক অমিত কুমার চৌধুরী সোনালী ব্যাংকের অদূরে ২০০ গজ দূরে রেলগেট এলাকায় পৌঁছালে অন্য এক নারী তাঁকে ধাক্কা দেন। তখন প্রভাষক অমিত কুমার সামনের দিকে একটু হেলে পড়েন। সে সময় সেখানে থাকা দুই যুবকের মধ্যে একজন প্রভাষক অমিত কুমার চৌধুরীর কোটের পকেট থেকে এক লাখ টাকার একটি বান্ডিল তুলে নেন। এরপর তাঁরা দুজনই দ্রুত সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সাদাপোশাক পরিহিত পুলিশ তখনই তাঁদের ধরে ফেলেন। পরে এক লাখ টাকাসহ তাঁদের থানা-পুলিশে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী প্রভাষক অমিত কুমার চৌধুরী বলেন, তিনি আক্কেলপুর সরকারি এমআর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক। বাসা জয়পুরহাট শহরের মাদারগঞ্জ মহল্লায়। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি সোনালী ব্যাংকের জয়পুরহাট প্রধান শাখা থেকে তিন লাখ টাকা তোলেন। টাকাগুলো কোটের পকেটে নিয়ে তিনি সোনার দোকানে যাচ্ছিল। পথে রেলগেট এলাকায় পৌঁছালে এ ঘটনা ঘটে।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক লাখ টাকাসহ দুজন ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রভাষক অমিত কুমারর চৌধুরী রাতেই একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁরা দুজনই পেশাদার ছিনতাইকারী।’


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩ | সময়: ৭:১৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ