সর্বশেষ সংবাদ :

রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা হবে জনসমুদ্র

স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ হবে মহাজনসমুদ্র। সে লক্ষ্যে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে বলে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করে। আওয়ামী লীগের ভিত্তি জনগণ। সমগ্র বাংলাদেশে সাম্প্রতিক আওয়ামী লীগের যে সমাবেশ-জনসভাগুলো হয়েছে, সেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ হয়েছে। জনগণ যে আমাদের সঙ্গে আছে, সেটি সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে প্রতীয়মান হয়েছে।
আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে যে জনসভা হতে যাচ্ছে, সেদিন রাজশাহী শহর লোকে লোকারণ্য হয়ে যাবে। যদিও মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশের ডাক দিয়েছি, কিন্তু পুরো শহরটাই সেদিন সমাবেশে রূপান্তরিত হবে। লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ হবে। জনসভাস্থল মহা জনসমুদ্রে পরিনত হবে।
প্রধানমন্ত্রীর আগামী ২৯ জানুয়ারি জনসভা সফলের লক্ষ্যে শুক্রবার রাজশাহীর ডা. কাইছার রহমান অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত জেলা ও নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজশাহী মহানগর আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে লিটন আরও বলেন ‘গত ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশে ১০ থেকে ১৫ হাজারের বেশি লোক হয়নি। তাদের সমাবেশে মানুষ আসেনি। মানুষ আসার কোন কারণ খুঁজে পায়নি। আগামী ২৯ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের জনসভায় মানুষের ঢল নামবে।
কিনি বলেন, বিএনপি একেকবার একেক কথা বলছে। কখনও বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি আদায় ছাড়া নির্বাচনে যাবে না, কখনও বলছে নির্বাচিত সরকার যিনি আছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার, সেই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। কখনও ২৭ দফা দাবি করছে, কখনও ১০ দফা দাবি করছে।
খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, আমরা জানি বিএনপি এমন একটি দল যে দলটি সৃষ্টি হয়েছিল ক্যান্টনমেন্ট থেকে অসাংবিধানিক পথে। জাতির পিতা এবং তার পরিবারকে হত্যার মাধ্যমে। ‘বিএনপি সব সময় হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যখনই সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশের মানুষকে জিম্মি করেছে। দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করেছে, দুর্নীতি করেছে, লুটপাট করেছে, এমন কোন হীন কাজ ছিল না যা তারা করেনি। এখন তারা বলছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। এই কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও ঘোষণা দিয়েছে, তারা যদি রাজপথে আসে, আসতে পারে, কিন্তু সেখানে যদি কোন অরাজনৈতিক অপতৎপরতা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে চায়, নেত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট বলেছিলেন, যে হাত দিয়ে মানুষের যান অথবা গাড়ি বা অন্যকিছুতে আগুন লাগাবে সেই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। যে হাত দিয়ে মানুষকে আঘাত করবে, সেই হাত ভেঙে দিতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। এই জন্য রাজশাহী বিভাগের এই জনসভাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, ‘এবারের জনসভাটি অতীতের জনসভার চেয়ে অনেক মানুষের সমাগম হবে। আমরা প্রমাণ দিব, শেখ হাসিনার ডাকে জনগণ প্রস্তুত আছে। তিনি বলামাত্রই যে কোন অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার মতো ক্ষমতা আওয়ামী লীগের আছে।’ তিনি জনসভায় যথাসময়ে হাজির হওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ এমপি ও প্রধান বক্তা হিসেবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বক্তব্য রাখেন।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় অন্যদের মধ্যে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, রাজশাহীর এমপি ডা. মনসুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, আয়েন উদ্দিন, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. হোসেন আলী হাসান, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সদস্য বেগম আখতার জাহান, সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান এমপি সহ রাজশাহী বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন আসনের সরকারদলীয় এমপি এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ | সময়: ৫:৫১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ