সর্বশেষ সংবাদ :

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ডে বিপর্যস্ত জনজীবন 

স্টাফ রিপোর্টার

রাজশাহীতে ক্রমেই শীতের প্রকোপে অসহনীয় হয়ে উঠেছে জীবনযাত্রা।  বুধবার সারা দেশের মধ্যে বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে এই অঞ্চলে শীতের পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। এতে হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হওয়ায় ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না মানুষ। তবে খেটে খাওয়া, ছিন্নমূল মানুষেরা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন বেশি। এছাড়া বৃদ্ধ ও শিশুরা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে কষ্ট পাচ্ছে।

 

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক রাজিব খান বলেন, রাজশাহীতে বুধবার সকাল ৭টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন এবং সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। একই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ইশ্বর্দীতেওস।

 

তিনি আরও জানান, রাজশাহীতে মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে বর্তমানে রাজশাহীর ওপর দিয়ে চলা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বুধবার মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। এর আগে গত ৮ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছিল ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

 

রাজশাহী আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সর্বনিম্ন ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা থাকলে বলা হয়- মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকা তাপমাত্রাকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৬ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সেই হিসেবে রাজশাহীসহ আশপাশের অঞ্চলের ওপর দিয়ে বুধবার মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে।

 

মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ায় শীতে কাঁপছে পদ্মাপাড়ের রাজশাহী।  বুধবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে সূর্যের মুখ দেখা গেলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। এর আগে ভোর থেকে বয়ে চলা বাতাসে দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী ছিন্নমূল মানুষেরা। এসময় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে জেলায় জবুথবু অবস্থার সৃষ্টি হয়। ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করে যানবাহন। সকাল থেকে রাস্তায় লোকজনের চলাফেরাও কম দেখা গেছে। ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেন। পরে সূর্যের মুখ দেখা যাওয়ায় শীতের তীব্রতা কমলেও রোদের তেজ না থাকায় রোদ খুব একটা গায়ে লাগেনি।

 

 

 

ফলে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রাজশাহীর জনজীবন। শীতের তীব্রতা বয়ে এনেছে বাড়তি কষ্ট ও দুর্ভোগ। এছাড়া রাজশাহীজুড়ে কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। এতে চাপ বাড়ছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। এর মধ্যে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।

 

 

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক শামীম ইয়াজদানী বলেন, রাজশাহীতে হঠাৎ শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় শীতজনিত রোগীর সংখ্যা কিছুটা বাড়ছে। তবে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি হয়নি। কিন্তু এই শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে শিশু ও বয়স্কদের বেশি দুর্ভোগ হতে পারে। তাই তাদের প্রতি বিশেষ নজর দেয়া জরুরি।

সানশাইন / শামি

 


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ | সময়: ৯:৫৩ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine

আরও খবর