সর্বশেষ সংবাদ :

দুই সেঞ্চুরিয়ানের লড়াইয়ে আজমকে ছাপিয়ে নায়ক উসমান

স্পোর্টস ডেস্ক: আজম খানের সেঞ্চুরিতে খুলনা টাইগার্সের সংগ্রহ নেহায়েত মন্দ ছিল না। তবে তাকে ছাপিয়ে গেলেন তারই স্বদেশি উসমান খান। রান তাড়ায় দারুণ এক সেঞ্চুরি করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে এনে দিলেন এবারের আসরের প্রথম জয়।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার দুই সেঞ্চুরির ম্যাচে ৯ উইকেটে জিতেছে চট্টগ্রাম। খুলনার ১৭৮ রান চার বল বাকি থাকতে পেরিয়ে গেছে শুভাগত হোম চৌধুরির দল। এমনিতে ওপেনার হলেও সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে উসমানকে ৬ নম্বরে নামায় চট্টগ্রাম। সেটি যে মোটেও ভালো সিদ্ধান্ত ছিল না পরের ম্যাচেই তা দেখালেন এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। নিজের সহজাত পজিশন ওপেনিংয়ে ফিরেই দারুণ সেঞ্চুরি করলেন তিনি।
এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরিতে ৫৮ বলে ১০৯ রানের ইনিংস খেলেন আজম। রান সংখ্যায় তাকে ছাড়াতে না পারলেও ৫৮ বলে ১০৩ রান করে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন উসমান। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে খুলনার শুরুটা তেমন ভালো ছিল না। শুভাগতর প্রথম ওভার মেডেন খেলেন তামিম ইকবাল। আরেক ওপেনার শারজিল খান পরের ওভারে বাউন্ডারি মেরে খোলেন দলের রানের খাতা।
তবে বেশি দূর যেতে পারেননি পাকিস্তানি ওপেনার। শুভাগতর বলে ক্যাচ আউট হন স্রেফ ৫ রান করে। পরের ওভারে একই পথে হাঁটেন হাবিবুর রহমান। আবু জায়েদ রাহির বলে বাউন্ডারি মেরে পরের বলে এলবিডব্লিউ হন অভিষিক্ত এই ব্যাটসম্যান।
১২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় খুলনা। আজমকে নিয়ে ৯২ রানের জুটিতে দলকে উদ্ধার করেন তামিম। তবে তিনি নিজে তেমন স্বচ্ছন্দে খেলতে পারেননি। তার প্রথম রান করতে লাগে ১০ বল। দুইবার জীবন পেয়েও ৩৭ বলে ৪০ রানে থামে তামিমের ইনিংস। অধিনায়ক ইয়াসির আলিও (২ বলে ১) ব্যর্থ হন বড় কিছু করতে।
অন্যদের খোলসবন্দি অবস্থার মাঝে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম হয়ে থাকেন আজম। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের নিজের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে ১৭৮ রানে পৌঁছে দেন ডানহাতি কিপার-ব্যাটসম্যান। অপরাজিত ইনিংসে ৫৮ বলে ১০৯ রান করেন ২৪ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। ৩৩ বলে পঞ্চাশের পর তিন অঙ্কে পৌঁছতে ২৪ বল নেন তিনি। ৯টি চারের সঙ্গে ৮টি ছয়ে সাজান নিজের ইনিংস।
আজমের সেঞ্চুরির জবাবে রান তাড়া করতে নেমে চালিয়ে খেলতে থাকেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউড ও উসমান। এক সময় মনে হচ্ছিল সব উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেবে চট্টগ্রাম। ডাচ ওপেনার ও’ডাউড ১৫তম ওভারে আউট হলে শেষ হয় সেই সম্ভাবনা। উদ্বোধনী জুটির সংগ্রহ ১৪১ রান। বিপিএল অভিষেক ম্যাচে ফিফটি করা ও’ডাউডের ব্যাট থেকে আসে ৫০ বলে ৫৮ রান।
উসমান ছিলেন আক্রমণাত্মক। ৩৪ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর আরও ধারাল হয় তার ব্যাট। পরের পঞ্চাশ ছুঁতে স্রেফ ২১ বল নেন ২৭ বছর বয়সী ওপেনার। ফিফটি করার পরই হেলমেট খুলে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস করেন উসমান। মনে হচ্ছিল যেন সেঞ্চুরিই করে ফেলেছেন তিনি। সে তুলনায় ১৯তম ওভারে সাইফ উদ্দিনের বলে ডিপ থার্ড ম্যান দিয়ে ছক্কা মেরে তিন অঙ্কে ঢোকার পর তেমন কোনো প্রতিক্রিয়াই দেখাননি উসমান।
হেলমেট খুলে ব্যাট উঁচিয়ে অভিবাদনের জবাব দিয়েই সারেন সেঞ্চুরির উদযাপন। অবশ্য শুরুতে তিনি বুঝতেই পারেননি সেঞ্চুরি পূরণ হওয়ার কথা। ডাগআউট থেকে হাততালির জোয়ারে টের পেলেও অল্পেই সীমাবদ্ধ রাখেন সেঞ্চুরির আনন্দ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাকি ছিল ৬ রান। পল ফন মেকেরিনের এলোমেলো বোলিংয়ে ২ বলেই এই রান পেয়ে যায় চট্টগ্রাম।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ | সময়: ৫:০৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ