শুক্রবার, ২৪শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: প্রথম ইনিংসে চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় দারুণ এক সেঞ্চুরি করা জহুরুল ইসলামের ব্যাট জ্বলে উঠল আবারও। দলের বিপদে এবার ফিফটি করলেন তিনি। কার্যকর ইনিংস খেললেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও রুয়েল মিয়া। তাতে অলআউট হওয়ার আগে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে গেল ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল। সেই রান তাড়ার মতো সময় ছিল না বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলের। কক্সবাজারে বৃহস্পতিবার বিসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচটি তাই ড্র হলো।
শেষ দিনে পূর্বাঞ্চলের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২৬০ রানে। প্রথম ইনিংসে ১৫ রানের লিড থাকায় প্রতিপক্ষকে তারা দেয় ২৭৬ রানের লক্ষ্য। শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩.২ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭৭ রান করে দক্ষিণাঞ্চল। দলকে নিরাপদ পুঁজি এনে দেওয়ার পথে ৫ চারে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন জহুরুল। প্রথমভাগে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ১৪৫ রান। এতে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনিই।
প্রথম ইনিংসে ১ রানের জন্য ফিফটি না পাওয়া আশরাফুল এবার ৭ চারে করেন ঠিক ৫০ রান। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটিতে রুয়েল খেলেন ২ ছক্কা ও ৭ চারে ৬০ রানের ইনিংস। দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪২ রানে ৫ উইকেট নেন মইন খান। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেটের স্বাদ পান এই অফ স্পিনার।
৩ উইকেটে ৫৩ রান নিয়ে খেলতে নামা পূর্বাঞ্চলকে বেশিক্ষণ টানতে পারেননি শাহাদাত হোসেন। মইনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি ৫ চারে ৩২ রান করে। এরপর দলের হাল ধরেন জহুরুল ও আশরাফুল। দুইজন গড়েন ৭৬ রানের জুটি। ১১২ বলে পঞ্চাশ করে নাজমুল অপুর বলে এলবিডব্লিউ হন আশরাফুল। ১১৩ বলে ফিফটি করে নিজের ইনিংসটি আরেকটু এগিয়ে নেন জহুরুল।
উইকেটে নেমে দ্রুত রান তোলায় মনোযোগ দেন রুয়েল। জহুরুলের সঙ্গে ৫২ রানের জুটিতে তার অবদান ৩৮। জহুরুলকে ফিরিয়ে তাদের প্রতিরোধ ভাঙেন মইন। শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরা পারেননি রুয়েলকে সঙ্গ দিতে। ৫৫ বলে ফিফটি করা এই ব্যাটসম্যানকে থামিয়ে নিজের পাঁচ উইকেট পূর্ণ করার পাশাপাশি প্রতিপক্ষের ইনিংস গুটিয়ে দেন ২৭ বছর বয়সী মইন।
লক্ষ্য তাড়ার জন্য এক সেশন বাকি ছিল দক্ষিণাঞ্চলের সামনে। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে শুরু করেন এনামুল হক। তাকে সঙ্গ দেন পিনাক ঘোষ। এনামুল ফিফটি করার পর ড্র মেনে নেন দুই অধিনায়ক। ২ ছক্কা ও ৫ চারে ৪৯ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত ছিলেন এনামুল। ৫ চারে ২৬ রান করেন পিনাক।