এগিয়ে আ’লীগ, জামাত-বিএনপিতে শঙ্কা,রিজার্ভ ভোট হারাচ্ছে বিদ্রোহী প্রার্থী !

স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা : আর মাত্র তিনদিন পর আগামী ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহীর বাঘা পৌরসভা নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে এখন পর্যন্ত জনসমর্থনে এগিয়ে রয়েছে আ’লীগ। এ দিক থেকে জামাত-বিএনপির দুই নেতা সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংস নেওয়ায় ভেঙ্গে গেছে তাদের ঐক্য জোট, ফলে অনেকটা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন তারা। প্রক্ষান্তরে আ’লীগের বিদ্রোহীকে দল থেকে বহিস্কার করায় তিনি হারাতে বসেছেন রিজার্ভ ভোট ।

সরেজমিন ভোটারদের সাথে কথা বললে তাঁরা বলেন, এলাকায় উন্নয়ন পেতে হলে নৌকা প্রতীকের কোন বিকল্প নাই। আমরা গত নির্বাচনে জামাত-বিএনপি’র ঐক্যজোটের কাছে পরাজিত হয়ে যে লজ্জা পেয়েছি আশা করছি এবার সেটা হবে না। কারণ মানুষ সচেতন হয়েছে। তারা বুঝতে শিখেছে।এলাকায় উন্নয়ন পেতে হলে নৌকার কোন বিকল্প নাই।তাছাড়া অত্র এলাকায় স্থানীয় সাংসদ ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর হাতদিয়ে যে অভূত পূর্ব উন্নয়ন হয়েছে এ দিক থেকে চিন্তা করে এলাকার সাধারণ মানুষ এখন পর্যন্ত আ’লীগের প্রতি আস্থা রেখেছেন।

তবে কেন্দ্রীয় নেতারা মুখে ভোটে অংশ গ্রহন না করার ঘোষনা দিলেও এখানে জামাত-বি.এন.পি’র দুই পদধারী নেতা সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোট করতে নামায় এবার তাদের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব এবং অনেকটা শঙ্কা কাজ করছে। অনেকেই ধারণা করছেন, গত নির্বাচনে তারা যা পেয়েছেন এবার সেটি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীন। তবে জামাত নেতা ভোটে না দাড়ালে এখানে আবারও বিএনপি নির্বাচিত হতো বলে মন্তব্য করেছেন উপজেলা,পৌর এবং ইউনিয়ন বিএনপির প্রায় ডজন খানেক নেতা।

এদিক থেকে একে বারেই কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। ইতোমধ্যে দল থেকে দলীয় পদ হারানোর কারণে তাঁর সাথে নেই কোন দলের পদধারী নেতা।তিনি তাঁর নিজ এলাকায় পৌর সভার সীমানা বাড়ানোর কারণে কিছু রিজার্ভ ভোটের মালিক হলেও সেগুলো ক্রমান্বরে কমে যাচ্ছে। সব মিলে এখন পর্যন্ত বাঘা পৌর সভায় ভোটের যে অবস্থা বিরাজ করছে তাতে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে মানুষ নৌকার প্রতি বেশি আস্থা রেখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন এলাকার সুশীল সমাজের নেত্রীবৃন্দ ও সাধারণ ভোটাররা।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২২ | সময়: ৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ | সানশাইন