বাঘায় প্রতীক পাওয়ার পর সরব প্রার্থীরা, লড়াই হবে ত্রিমুখী

স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা : আগামী ২৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর বাঘা পৌরসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে রবিবার(১১ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে উপজেলা নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকে সরব হয়ে উঠেছে মেয়র প্রার্থীরা। ইতোমধ্যে ছেঁয়ে গেছে নৌকার পোস্টার। তবে মাইকিং শোনা গেছে ৫ প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনের। এ থেকে অনেকেই মনে করছেন, এখন পর্যন্ত যে অবস্থা বিরাজ করছে তাতে করে এই তিন প্রার্থীর মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হবে বলে দাবি করছেন সুশীল সমাজের নেত্রীবৃন্দ। তাদের ধারনা, এলাকার উন্নয়ন পেতে মানুষ নৌকায় ভোট দিবেন।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার মজিবুল আলম জানান, বাঘা পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে শনিবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার কাজ সম্পন্য করেছি। এখানে মেয়র পদে আওয়ামীলীগ থেকে দলীয় প্রতীক নৌকা পেয়েছেন শাহিনুর রহমান পিন্টু। অন্য যে চারজন নিজেদের সতন্ত্র দাবি করে প্রতীক নিয়েছে তারা হলেন-সাবেক মেয়র আক্কাছ আলী,তার প্রতীক জগ। কামাল হোসেন, কম্পিউটার। প্রভাষক সাইফুল ইসলাম, নারিকেল গাছ এবং ইসরাফিল হোসেন, মোবাইল।

বাঘা পৌর এলাকার একাধিক ভোটার এবং স্থানীয় লোকজন জানান , গত পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়ে পরাজিত হওয়ার কারণে এবার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন উদিয়মান যুবলীগ নেতা ও চলমান প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু। আর এই ক্ষোভে এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সাবেক মেয়র আক্কাছ আলী। তবে বাঘা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল জানান, আমরা উপজেলা আওয়ামীলীগ আক্কাছ আলীকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। কিন্তু তিনি আমাদের কথা উপেক্ষা করে ভোট করছেন। এ বিষয়ে যা কিছু করনীয় তার সিদ্ধান্ত নিবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অপর দিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপি কেন্দ্র থেকে ভোট করার সিদ্ধান্ত না দিলেও এখানে স্থানীয় বিএনপির সিদ্ধান্তে সতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বলে দাবি করেছেন পৌর বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন। তাঁর প্রতীক কম্পিউটার। তিনি বলেন, এখানে যদি নিরপেক্ষ ভোট হয় তাহলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে তিনি নির্বাচিত হবেন।

এদিকে স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠন জামাতে ইসলামীর পৌর আমীর প্রভাষক সাইফুল ইসলাম “নারিকেল গাছ’’ প্রতীক নিয়ে প্রচারনায় নেমেছেন। তার কর্মী-সমর্থকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে বিএনপির সাথে তাদের ঐক্য নেই। গত নির্বাচনে ঐক্য থাকায় এখানে জোটের প্রার্থী মওলানা আব্দুর রাজ্জাক পাশ করেছিল। কিন্ত এবার কি হয় সেটা দেখা যাবে।

এ পৌর সভায় মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪০ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৩ জনের মনোনয়ন বৈধ হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তারাও রবিবার স্ব-স্ব ওয়ার্ডের জন্য প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। তবে রবিবার দুপুর পর্যন্ত মেয়র পদে দিন প্রার্থীর মাইকিং-এ প্রচার সরব হয়ে উঠেছে। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩১ হাজার ৬৫৯ । এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ হাজার ৮১২ ও মহিলা ভোটার ১৫ হাজার ৮৫৭ জন। এখানে ইভিএমের মাধ্যমে ১১ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২২ | সময়: ৪:৪৫ অপরাহ্ণ | সানশাইন