গোদাগাড়ীতে ওয়াকফ সম্পত্তিতে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার :

রাজশাহীর গোদাগাড়ীর পাকড়ি এলাকায় ফসল নষ্ট করে ওয়াকফকৃত সম্পত্তিতে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে। জমিতে কেউ প্রবেশ করলে তার হাত-পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে ওয়াকফ স্টেটের মোতাওয়াল্লী ও সাধারণ কৃষকরা ঘটনাস্থলে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় এলাকায় বিরাজ করছে তীব্র উত্তেজনা।

 

সংবাদ সম্মেলনে হাজি মানিক উল্লাহ ওয়াকফ স্টেটের মোতাওয়াল্লী আশিকুল ইসলাম বলেন, ২০০১ সালে তৎকালীন ইউএনও ছিলেন স্টেটের মোতাওয়াল্লী। তিনি সম্পত্তি টেন্ডার দেন এবং আয়ের শতকরা ১০% গ্রহণ করেন। অথচ এখন কীভাবে সেই সম্পত্তিকে খাস জমি বলে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করছেন বর্তমান ইউএনও? আশিকুলের ভাষ্য, এ সম্পত্তিতে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ না করতে ইতোমধ্যে ওয়াকফ প্রশাসক ইউএনওকে চিঠি দিয়েছেন। সেই নির্দেশনাও মানছেন না তিনি। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে গায়ের জোরে কৃষকদের ক্ষতি করছেন ইউএনও। অথচ উপজেলার অন্য এলাকায় অনেক খাস জমি রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে কৃষকরা জানান, দীর্ঘদিন থেকে জমিগুলোতে ফসল ফলাতেন তারা। ২৮ বিঘা জমির ধান নষ্ট এবং আম ও লিচু গাছ কেটে ফেলে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি করা হয়েছে। সেখানে বছরে প্রায় এক হাজার মণ ধান হত। সেটি থেকে তারা বঞ্চিত। জমিতে কেউ প্রবেশ করলে তাকে গ্রেপ্তারের হুমকি দেয়া হয়েছে। এমনকি হাত-পা ভেঙে ফেলার হুমকিও দিয়ে গেছেন ইউএনওর প্রতিনিধি। স্টেটের সম্পত্তি ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। পরবর্তীতে বিক্ষোভ-মানববন্ধনসহ যেকোনো মূল্যে অশুভ চক্রান্ত মোকাবেলার ঘোষণা দেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পাকড়ি মৌজায় ১৯৩৪ সালে ১৩৩ একর জমি ওয়াকফ করেন হাজি মানিকউল্ল্যাহ। ভুলক্রমে কয়েক বিঘা জমি মানুষের নামে রেকর্ড হলে মোতাওয়াল্লিরা রেকর্ড সংশোধনের মামলা করেন আদালতে। জমিটি ওয়াকফফ হওয়ার প্রমাণও রয়েছে মোতাওয়াল্লীদের কাছে।

 

এ বিষয়ে গোদাগাড়ীর ইউএনও মো. জানে আলম মুঠোফোনে জানান, এটা নিয়ে আমার কিছু বলার নাই । ডিসি স্যরের অনুমোদনক্রমে সেখানে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে ।

 

সানশাইন/তারেক


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২২ | সময়: ৬:১১ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine