ভিতরবন্দ কৃষি ইন্সটিটিউট অবহেলিত অঞ্চলে শিক্ষার আলোর বাতিঘর

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম নাগেশ^রী উপজেলার ভিতরবন্দ কৃষি ইন্সটিটিউট অবহেলিত অঞ্চলে শিক্ষায় আলোর বাতিঘর হিসেবে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। ১৭ বছর ধরে কৃষি প্রধান এলাকার শিক্ষার্থীদের স্বল্প খরচে কৃষি ডিপ্লোমা কোর্স সুম্পন্ন করতে অগ্রণী ভূমিকা রেখে যাচ্ছে এই কৃষি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। সেই সাথে এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মো. হাফিজুর রহমানের নিরলস প্রচেষ্টা সর্বমহলে প্রশংসা অর্জন করেছে।
জানা গেছে, ২০০৬ সালে মো. হাফিজুর রহমান নিজ চাষযোগ্য জমির উপর প্রতিষ্ঠা করেন ভিতরবন্দ কৃষি ইন্সটিটিউট। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কুড়িগ্রাম-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজার রহমান মোস্তাক। বর্তমানে ৪ বছর মেয়াদী ৮ সেমিস্টার কোর্সে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানে ২২ জন শিক্ষক (এককালীন ও খন্ডকালীন) কর্মরত আছেন। স্থানীয় কৃষক নুরনবী, আব্দুল খালেকসহ একাধিক কৃষক জানায়, এই এলাকায় কৃষি প্রতিষ্ঠানটি থাকায় আমরা কৃষক সমাজ অনেক বেশি উপকৃত হচ্ছি। আমাদের সন্তানেরা অনেক কম খরচে কৃষি ডিপ্লোমা পাশ করে চাকুরীর পাশাপাশি কৃষিকাজে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। ভিতরবন্দ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার আমিনুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, কৃষি প্রধান এলাকার কৃষি ইন্সটিটিউটটি ব্যাপক ভুমিকা রাখছে।
দেশের সব অঞ্চলেই জেনারেল ও ধর্মীয় শিক্ষালয় সচরাচর থাকায় শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই জেনারেল ও ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করতে পারে। কিন্তু কৃষি কলেজ সচরাচর না হওয়ায় ইচ্ছা থাকলেও অনেকেই কৃষি বিষয়ের উপর পড়ালেখা করার সুযোগ পায় না। এই ক্ষেত্রে ভিতরবন্দ কৃষি ইন্সটিটিউট অনেক গুরুত্ব পেয়েছে। সরকারের সুদৃষ্টি পেলে প্রতিষ্ঠানটি আরও ভালো অবস্থানে যেতে পারবে।
অধ্যক্ষ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতি বছর অনেক শিক্ষার্থী কৃষি ডিপ্লোমা কোর্স সাফল্যের সাথে সমাপ্ত করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক ভুমিকা রাখছে। শিক্ষার্থীরা কোর্স সম্পন্ন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগসহ অনেক সরকারী বেসরকারী চাকুরীতে যোগদান করতে পারছে। শুধুমাত্র ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানে অনেক সমস্যা রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রশাসনিক ভবন, পাঠদান কক্ষ, আসবাবপত্র, ওয়াশরুম। শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠানের আওতাভুক্ত উন্নতজাতের গরুর খামারটির সংযোজন ও সম্প্রসারণ করাও জরুরী।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২২ | সময়: ৫:১১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ