নগরীতে ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির মানববন্ধন ও স্মারকলিপি

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি রাজশাহী জেলা শাখার আয়োজনে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। রোববার বেলা পৌনে ১২টার দিকে নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসক চত্বর এলাকায় মৌন মিছিল শুরু করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ করেন। সেখানে মানববন্ধন করেন নেতৃবৃন্দ।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন ২০১৯ এ বর্ণিত জিগজ্যাগ ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্স প্রাপ্তি এবং বর্তমান কয়লা সংকট সমাধানের দাবীতে এই মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধন শেষে নেতৃবৃন্দ রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এ সময়ে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু, বাংলাদেশ ইটভাটা প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, গোদাগাড়ী উপজেলা ইটভাটা প্রস্তুতকারী মালিক সমিতর সভাপতি আলহাজ¦ আউয়াল হক, পবা উপজেলা সভাপতি আব্দুস সালাম, বাগমারা সভাপতি হেলাল উদ্দিন, ও চারঘাট সভাপতি টিপুসহ রাজশাহীর জেলার অন্যান্য থানা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি সাদরুল ইসলাম বলেন, ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে নানা প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়ে তারা ইট ভাটার ব্যবসা করে যাচ্ছেন। তারা সকল প্রকার অবকাঠামো ও রাস্তাঘাট তৈরীতে ইট সরবরাহ করে সরকারের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রেখেছেন। তিনি আরো বলেন, ২০০২ সালে পরিবেশ অধিদপ্তরের জারিকৃত পরিপত্রের আলোকে চিমনী ভাটার পরিবর্তে অর্ধ কোটি টাকার উপরে ব্যয় করে পরিবেশ বান্ধব ১২০ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন স্থায়ী চিমনী ভাটা নির্মান করেন।
সভাপতি বলেন, এই ধরনের ভাটা তিন থেকে চার বছর পরিচালনা করার পরে ২০১০ সালের আইন অনুযায়ী চিমনীর ভাটার পরিবর্তে জিগজ্যাম/ হাইব্রিড হফম্যান কিলন/ ভার্টিক্যাল শ্যাফট কিলন ট্যানেল ইত্যাদি প্রযুক্তির ভাটায় রাপান্তরিত করার নির্দেশনা দিলে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যায়ে পর্যায়ক্রমে সে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তারা বলেন, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী জিগজ্যাম ভাটা বৈধ থাকলে অতিতের আইনের বেরাজালে তারা নিবন্ধন না পেয়ে অধিকাংশ জিগজ্যাম ভাটা অবৈধ হয়ে পরেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরনের জন্য ২০১৩ এর আইনটি পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে মাধ্যেমে প্রজ্ঞাপন জারী করে ২০১৯ সালের কিছু সংশোধন করলেও কোন লাভ হয়নি।
দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং ইটভাটা ব্যবসাকে লাভবান করতে তারা ইটভাটার নিবন্ধন পেতে আইনের কিছু ধারা আবারও সংশোধন করার দাবী জানান এবং নিবন্ধন প্রদানের জণ্য অনুরোধ করেন। সেইসাথে পরিবেশ রক্ষায় গাছের পরিবর্তে তারা সম্পুর্নভাবে কয়লা দিয়ে ইট পোড়ানোর ক্ষেত্রে কয়লা আমদানী বৃদ্ধি করাসহ সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে কয়লাতে ভ্যাট ও ঠ্যাক্স কমানোর দাবাী জানান তিনি। বক্তব্য শেষে নেতৃবৃন্দ রাজশাহী জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এ সময়ে জেলা প্রশাসক বলেন দেশের পরিবশে রক্ষায় কোন ভাবেই কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো যাবে না। এ ব্যাতিক্রম হলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।


প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২২ | সময়: ৫:৩০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ