সর্বশেষ সংবাদ :

বাগমারায় বিএনপির ২০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারা: সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে এলাকায় বিশৃংখলা সৃষ্টি ও সরকারের ভামূর্তি ক্ষুন্নের অভিযোগে রাজশাহীর বাগমারার বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বি¯েফারকদ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। মামলার আসামিরা একদিন পর ঘটনা ও মামলা সর্ম্পকে জানতে পেরেছেন। তাঁদের দাবি রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে ভীতি সৃষ্টির জন্য পুলিশ এই গায়েবি মামলা করেছে। তবে পুলিশের দাবি হয়রানির জন্য নয়, পুলিশ নির্দিষ্ট তথ্যের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে ককটেলসহ অন্যান্য মালামাল জব্দ এবং মামলা করেছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ছয়টি অবিেেস্ফারিত ককটেল, চারটি বাঁশের লাঠি, ভাঙ্গা ইটের টুকরো ও চারটি পানির বোতল জব্দ করেছে।
মামলায় ভবানীগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামানসহ সাত জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০০জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তাঁরা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে মামলার আসামিরা ঘটনা সর্ম্পকে কিছুই জানেন না। একদিন পর মামলার বিষয়টি জানতে পেরেছেন। শুক্রবার থানার উপপরিদর্শক রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ মুঠোফোনে বলেন, আগামি ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে নেতা-কর্মীরা যাতে না আসতে পারেন এবং তাঁদের হয়রানির জন্য গায়েবি মামলা করেছে। এরপরেও সমাবেশ সফল হবে বলে মন্তব্য করেন।
মামলার প্রধান সাক্ষি গোয়ালকান্দি ইউনিয়ণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু মোল্লাহ বলেন, তিনি উপজেলা সদর থেকে বাড়ি ফেরার পথে শিবজাইট এলাকায় হই চই শুনতে পান। তবে সেখানে গিয়ে পুলিশ ও ঘটনাস্থলে পানির বোতল, লাল কসটেপ মোড়ানো কয়েকটি কোটা দেখতে পেয়েছেন। তিনি মামলার সাক্ষি কি না জানেন না বলে জানিয়েছেন।
মামলার বাদী থানার উপপরিদর্শক রেজাউল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি সঙ্গীয় ফোর্সসহ গ্রেপ্তারিপরোয়ানাভূক্ত আসামি গ্রেপ্তার ও মাদকদ্রব্য উদ্ধারের অভিযানে চালান। রাত সাড়ে নয়টায় জানতে পারেন রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ সফর করতে ও সরকারের বিরুদ্ধে নাশকতা সৃষ্টির জন্য ভবানীগঞ্জ পৌরসভার নাজিরপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিএনপির নেতারা জমায়েত হয়েছেন। পরে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে অভিযান চালায়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁরা পালিয়ে যান। সেখান থেকে পুলিশ ককটেল, লাঠি ও ইটের টুকরো উদ্ধার করে। তিনি জানান, তাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার পাশাপাশি স্থানীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সরকারি স্থাপনায় হামলা করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। প্রাথমিক ভাবে সাতজনের নাম ঠিকানা পাওয়া গেছে। অবশিষ্ট আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন।
মামলার প্রধান আসামি আক্তারুজ্জামান বলেন, তিনি মামলা হওয়ার পর বিষয়টি জানতে পেরেছেন। সেখানে ওই ধরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পুরো ঘটনা গায়েবি বলে মন্তব্য করেন। বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, তাঁরা প্রথমে গোডাউন মোড়ে সমাবেশের চেষ্টা করেছিল, সেখানে সুবিধা করতে না পেরে নাজিরপুরে গিয়ে সমাবেশ করেছে। পুলিশ হয়রানি করার জন্য নয়, প্রকৃত ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলা করেছে। এটা কোনো গায়েবি মামলা নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।


প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২২ | সময়: ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ