পাকিস্তানিদের কাদিয়ে ইংলিশদের উল্লাস

স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি ২০২২ বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ১৩৭ রান তুলে বাবর আজমরা। জবাবে ৬ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংলিশরা।
পাকিস্তানের দেওয়া ১৩৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেয় ধাক্কা খাই ইংল্যান্ড। ইনিংসের প্রথম ওভারেই আফ্রিদির আঘাৎ ১ রানে বোল্ড আউট হন অ্যালেক্স হেলস, ১০ রানে ফিল সল্ট ও ২৩ রানে হারিস রউফ এর শিকার হয়েছেন ওপেনার জস বাটলার। পাওয়ার প্লে ছয় ওভারেই দুই ওপেনার ও একজন টপঅর্ডার ব্যাটারকে হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। চতুর্থ উইকেট জুটিতে সেই চাপ সামলে নেন বেন স্টোকস ও হ্যারি ব্রুকস। এ সময় দুজন মিলে তুলেন ৩৯ রান।
এরপর সাদাব খানের শিকার হয়ে ২৩ বলে ২০ রানে আউট হন ব্রুকস। পরে মঈন আলিকে সাথে নিয়ে ৪৮ রানে জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়েন স্টোকস। মোহাম্মদ অসিম এর ওভারে ১২ বলে ১৯ রানে ফেরেন মঈন। এরপর স্টোকস-লিভিংস্টোন জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন। ৪৯ বলে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন স্টোকস। লিভিংস্টোন অপরাজিত থাকেন ১ রানে। হারিস রউফ সর্বচ্চ ২টি উইকেট নেন।
মেলবোর্নে এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান ইংলিশ দলনেতা জস বাটলার। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দেখে-শুনেই খেলা শুরু করেন দুই পাকিস্তানি ওপেনার। কিš‘ ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ১৪ বলে ১৫ রান করে স্যাম কুরানের বলে বোল্ড আউট হন মোহাম্মদ রিজওয়ান।পরের উইকেটে খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি মোহাম্মহ হ্যারিস। সপ্তম ওভারে বলতে করতে এসেই হ্যারিসকে আউট করেন ইংলিশ স্পিনার আদিল রশিদ। আউট হওয়ার আগে ১২ বলে ৮ রান করেন হ্যারিস।
এদিকে শান মাসুদকে সঙ্গে নিয়ে ইতবাচক ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন দলনেতা বাবর আজম। কিন্তু ১২তম ওভারে আদিল রশিদের করা ১ম বলে ব্যক্তিগত ২৮ বলে ৩২ করে বেন স্টোকসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। পরের ওভারে বেন স্টোকের বলে ৬ বলে শূন্য রান করে আউট ইফতেখার আহমেদ। চার উইকেট হারিয়ে চাপে থাকা পাকিস্তানকে চাপ মুক্ত করেন শান মাসুদ ও শাদাব খান। পঞ্চম উইকেট জুটিতে চাপ সামলে দলীয় স্কোরটা বাড়িয়ে নেন শান মাসুদ ও শাদাব খান। তবে মাসুদের ব্যক্তিগত স্কোরটা বড় করতে দেননি কুরান। ২৮ বলে ৩৮ রানে আউট হন তিনি। পরের ওভারে ২০ রানে ফেরেন শাদাব।এরপর সুবিধা করতে পারেননি কেউই। মোহাম্মদ নেওয়াজ ৫ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র করেন ৪ রান। আর আর শাহিন শাহ আফ্রিদি ৫ রানে ও হ্যারিস রউফ ১ রানে অপরাজিত থাকেন।ইংল্যান্ডের পক্ষে মাত্র ১২ রানের খরচায় সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন স্যাম কুরান। ক্রিস জর্ডান ও আদিল রশিদ নিয়েছে দুটি করে উইকেট। আর একটি উইকেটের দেখা পেয়েছেন বেন স্টোকস। প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচ এবং প্লেয়ার অফ দ্যা টুর্নামেন্ট হন স্যাম কুরান।
উল্লেক্ষ্য, এ জয়ের ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমান দুইবার শিরোপা জেতার রেকর্ড গড়ল ইংল্যান্ড। ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে আর ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তুলে নেয় দ্বিতীয় শিরোপা। এদিকে ইংল্যান্ডের প্রথম শিরোপা আসে ২০১০ সালে। আর এবার পাকিস্তানকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো জস বাটলারের দল।অন্যদিকে বাবরদের সামনে সুযোগ এসেছিল ২০০৯ সালের পর শিরোপা উচিয়ে ধরার।