বিশ্বজুড়ে কোভিড রোগী বৃদ্ধির ঈঙ্গিত

সানশাইন ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে দৈনিক কোভিড-১৯ সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা এখনকার গড়ের চেয়ে ফেব্রুয়ারিতে ২০ লাখ বেশি বাড়বে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা দেখাচ্ছে, দৈনিক সংক্রমণ এখনকার এক কোটি ৬৭ লাখের চেয়ে ধীরগতিতে বেড়ে ফেব্রুয়ারিতে এক কোটি ৮৭ লাখে দাঁড়াবে।
এ সময়জুড়ে উত্তর গোলার্ধে শীত ঋতু বিরাজ করার কারণেই এমনটা ঘটবে বলে গবেষণায় ধারণা দেওয়া হয়েছে। ওমিক্রনের দাপটের কারণে সর্বশেষ শীতে বিশ্বজুড়ে সংক্রমণের সর্বোচ্চ সময়ে জানুয়ারিতে গড়ে প্রতিদিন আনুমানিক প্রায় ৮ কোটি মানুষ কোভিড আক্রান্ত হতে পারে বলে আগের গবেষণাগুলোতে ধারণা দেওয়া হয়েছিল, সেই তুলনায় আসছে মাসগুলোতে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা অনেক কম থাকবে বলে এবারের গবেষণা প্রতিবেদনে অনুমান প্রকাশ করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সামনের মাসগুলোতে এখনকার তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও মৃত্যু বাড়বে না বলেই প্রত্যাশা করছে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই)। আইএইচএমই-র পূর্বাভাস বলছে, বিশ্বজুড়ে কোভিডে দৈনিক মৃত্যুর গড় আগামী ১ ফেব্রুয়ারি নাগাদ ২ হাজার ৭৪৮ হতে পারে, এখন যা এক হাজার ৬৬০-র কাছাকাছি আছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বজুড়ে কোডিডে প্রতিদিন ১১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী ফেরার পাশাপাশি শীতে চার দেয়ালের ভেতর জনসমাগমের কর্মসূচি বাড়লে সামনে যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমণের পরিমাণ এক তৃতীয়াংশ বেড়ে ১০ লাখ ছাড়াবে বলেও অনুমান আইএইচএমই-র।
জার্মানিতে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি এরমধ্যেই চূড়ায় পৌঁছেছে বলেও ইনস্টিটিউটটির ২৪ অক্টোবরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা এক তৃতীয়াংশের বেশি নেমে ফেব্রুয়ারিতে গড়ে এক লাখ ৯০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছাবে বলেও ধারণা আইএইচএমই-র।
জার্মানিতে সাম্প্রতিক সময়ে কোভিডের যে ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে তার পেছনে ওমিক্রনের উপ-ধরন বিকিউ.১ ও বিকিউ.১.১ দায়ী এবং আসছে সপ্তাহগুলোতে এই উপ-ধরণ দুটি ইউরোপের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়বে বলে তাদের প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তবে জার্মানিতে হাসপাতালে কোভিড রোগী ভর্তি দ্রুতগতিতে বাড়া এখনও উদ্বেগের ক্ষেত্র হিসেবে রয়েই গেছে, বলেছে আইএইচএমই।
তাদের বিশ্লেষণ বলছে, সিঙ্গাপুরে সম্প্রতি হাসপাতালে কোভিড রোগী ভর্তি বাড়ার পেছনে দায়ী ওমিক্রনের নতুন উপ-ধরন এক্সবিবি; এটি বেশি সংক্রামক হলেও কম মারাত্মক। তবে আগে যারা ওমিক্রনের উপ-ধরন বিএ.৫-এ সংক্রমিত হয়েছিলেন তাদের দেহ এই এক্সবিবি ধরনকে প্রতিহত করতে পারবে বলেই মনে করা হচ্ছে; এ কারণে নতুন উপ-ধরনটি বিশ্বজুড়ে তেমন প্রভাব ফেলতে পারবে না বলেই ধারণা দিয়েছে আইএইচএমই-র গবেষণা প্রতিবেদন।


প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২২ | সময়: ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ