সর্বশেষ সংবাদ :

তেলবাহী ট্যাংকারে বিস্ফোরণে দুজনের মৃত্যু

সানশাইন ডেস্ক: বরিশাল সদরের চরকাউয়া এলাকায় কীর্তনখোলা নদীতে নোঙর করা একটি তেলবাহী ট্যাংকারের ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া একজন নিখোঁজ রয়েছেন এবং তিন জন দগ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। ট্যাংকারটিতে সাড়ে চার লাখ লিটার তেল ছিল।
নিহত ট্যাংকারের স্টাফ বাবুল ও স্বাধীন চট্টগ্রামের বাসিন্দা। নিখোঁজ রয়েছেন আবুল কাসেম নামে একজন। আহতরা হলেন কুতুবউদ্দিন, রুবেল ও কামাল হোসেন। তারা সবাই চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা।
ফায়ার সার্ভিস বিভাগীয় উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ‘তেল খালাস করতে অপর তীরে মেঘনা ডিপোতে যাওয়ার জন্য ইঞ্জিন চালু করছিলেন ‘এমটি ইবাদি’ নামে ওই ট্যাংকারের স্টাফরা। এ সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এরপর ইঞ্জিন রুম থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে থাকে। তখন এলাকাবাসী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেন।
তিনি আরও জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। এ সময় ইঞ্জিন রুম থেকে দুই জনের লাশ এবং দগ্ধ তিন জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখন পর্যন্ত একজন কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন। একাধিক ফায়ার সার্ভিস কর্মী জানিয়েছেন, ইঞ্জিন রুম প্রচণ্ড গরম হওয়ায় সেখানে যাওয়া যাচ্ছে না। হিট কমলে সেখান থেকেই নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি বেঁচে নেই।
মিজানুর রহমান আরও জানান, তেলে আগুন না লাগায় বেঁচে গেছেন ট্যাংকারে থাকা অন্য স্টাফরা। আগুন লাগলে একজনও রক্ষা পেতেন না। ট্যাংকারটি চট্টগ্রাম থেকে সাড়ে চার লাখ লিটার তেল নিয়ে ৯ মে বরিশালে আসে খালাস করতে। কিন্তু মেঘনা ডিপোতে আরও জাহাজ থাকায় তারা খালাস করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার বিকালে ডিপোতে খালাস করতে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই সেখানে ছুটে আসেন জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি উদ্ধার কাজ পরিদর্শন করেন। তবে কী কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না বলে জানান তিনি।


প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৩ | সময়: ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ