সেমিফাইনালে কিউই বাধা পেরিয়ে ফাইনালে পাকিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটের হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের দেয়া ১৫৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৫ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয় পাই পাকিস্তান।
নিউজিল্যান্ডের দেয়া ১৫৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দারুন শুরু করে রিজওয়ান ও বাবর। প্রথম বলেই চার হাকিয়ে ফেরার বার্তা দেন এই জুটি। প্রথম ৬ ওভারে তুলেন ৫৫ রান। এইদিন কিউইদের বোলিং আক্রমণ সহজেই খেলতে থাকে পাকিস্তানের টপ অর্ডার ব্যাটম্যানস। ১ম উইকেট জুটিতে আসে ১০৫ রান। বাবর ৪২ বলে ৫৩ রান আর রেজওয়ান ৪৪ বলে ৫৮ রান করে আউট হন। এর পর দারুণ ফর্মে থাকা হারিস দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পোছেদেয়।
এইদিন পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে বাধা হতে পারেননি বোল্ট-সাউদিরা। এমনকি, সেমিতে আসার পথে যাদের ভূমিকা ছিল বিশাল, সেই কিউই স্পিন জুটি স্যান্টনার-সোধিও ছিলো অসহায়। পাকিস্তানের দুর্দান্ত ক্যাচিং ও গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ের বিপরীতেও যেন ম্লান নিউজিল্যান্ড। কিউইরা একাধিক ক্যাচ ও রান আউটের সুযোগ নষ্ট করেছে। যার ফলে পুরো আসরে ব্যর্থ বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান খেললেন অনবদ্য এক ইনিংস। কিউইদের হয়ে বোল্ট নেন ২ উইকেট আর স্যান্টনার নেন ১ উইকেট।
এর আগে, টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ডে। শাহিন আফ্রিদির বলে ৪ করে ফিরেন ফিন এলেন। পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ সামলে উইকেট আগলে রাখে কিউইরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বড় কোনো সংগ্রহ দাড় করাতে পারেনি তারা। ড্যারিল মিচেলের ৫৩ ও কেন উইলিয়ামসনের ৪৬ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের হয়ে আফ্রিদি ২ আর নাওয়াজ ১টা উইকেট নেন।
আরও একবার বৈশ্বিক আসর থেকে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে কেন উইলিয়ামসনের দলকে। অন্য দিকে আরো একবার ফাইনাল খেলবে পাকিস্তান। আরো একবার চাম্পিয়ন হবার সুযোগ ২০০৯ টি-টুয়ান্টি বিশ্বকাপ চাম্পিয়ন্দের। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন মোহাম্মদ রেজোয়ান।


প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২২ | সময়: ৬:১১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ