বড়াইগ্রামে রাস্তা সংস্কারে নিম্নমানের সামগ্রী

বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: বড়াইগ্রামের জোনাইলে এক কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার কাজে পুরনো ও নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
এলজিইডি সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার জোনাইল-ইন্দ্রাপাড়া সড়কের জোনাইল নিমাই বৈরাগীর বাড়ি থেকে চামটা বাগবাচ্চা আমতলা পর্যন্ত এক কিলোমিটার পাকা রাস্তা সংস্কারের জন্য ৪৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। টেন্ডারে নাটোরের মেসার্স হোসেন এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী সাজ্জাদ হোসেন কাজটি বরাদ্দ পান। তবে সাব ঠিকাদার শাহ আলম কিনে নিয়ে কাজটি করছেন। কিন্তু সংস্কার কাজে নিম্ন মানের ইটের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তায় পুরাতন এইচবিবি রাস্তায় ব্যবহৃত ইট ভেঙ্গে সেসব খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া বাইরে থেকে যে খোয়া দেয়া হয়েছে সেগুলোও তিন নম্বর ইটের। এসব খোয়ার মধ্যে বেশ কিছু জায়গায় পুড়ে যাওয়া ফাঁপা ইটের খোয়াও ব্যবহার করা হয়েছে। তাছাড়া এসব ইটের আকার সর্বোচ্চ দেড় ইঞ্চি মাপের হওয়ার নিয়ম থাকলেও রাস্তার বেশির ভাগ অংশে বড় বড় খোয়া এবং আধলা বা পুরো ইট ব্যবহার করা হয়েছে।
চামটা গ্রামের সোহরাব হোসেন জানান, রাস্তায় ব্যবহার করা খোয়ার প্রায় সবই তিন নম্বর ইটের। আমরা এগুলো ব্যবহার করতে নিষেধ করলেও ঠিকাদারের লোকেরা শোনেনি। এসব খোয়া রোলার পর গুড়া হয়ে যাচ্ছে। এভাবে সংস্কার করা হলে রাস্তা বেশিদিন টিকবে না।
সাব ঠিকাদার শাহ আলম বলেন, এ রাস্তার শুরুর অংশের এইচবিবি রাস্তার পুরাতন ইট ব্যবহারের নির্দেশনা থাকায় সেগুলো ভেঙ্গে রাস্তায় দিয়েছি। এছাড়া অন্য খোয়াগুলোর মান খারাপ এটা সঠিক নয়।
কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন বলেন, আমরা রাস্তায় মান সম্পন্ন খোয়া দিতে বলেছি। আমার জানা মতে, মান সম্মত খোয়া দেয়ারই কথা।
উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল করিম বলেন, পুরাতন এইচবিবি রাস্তার ইটগুলোর মান একটু বেশি খারাপ। তবু সিস্টেমের কারণে সেগুলো দিতে হয়েছে। তবে আধলা বা পুরো ইট থাকার কথা নয়। অন্য ইটগুলো ভাল মানেরই দেয়ার কথা। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে অনিয়ম হয়েছে কিনা দেখবো।


প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২২ | সময়: ৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ