অন্যতম দর্শনীয় স্থান ধুবিল কাটার মহল জমিদারবাড়ী

তাড়াশ প্রতিনিধি: ভারত উপমহাদেশে মুঘলদের আমল থেকে ব্রিটিশদের শাসন আমল পর্যন্ত জমিদারি প্রথা চালু ছিল। কালের বিবর্তনে বাংলার মাটি থেকে অনেক আগেই জমিদারি এবং জমিদারি প্রথা হারিয়ে গেছে। কিন্তু মুছে যায়নি তাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। জমিদারদের নির্মিত বিভিন্ন বাড়ি ও স্থাপনাগুলো আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তেমনই একটি জমিদার বাড়ি রয়েছে রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিণে অবস্থিত ধুবিল কাটার মহল জমিদার বাড়িটি।
স্থানীয়দের কাছে বাড়িটি তালুকদার বাড়ি নামে পরিচিত। জমিদারদের স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়িটি হতে পারে সিরাজগঞ্জের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আনুমানিক ১৮৪০ সালের দিকে পরগনার প্রতিষ্ঠাতা জমিদার মুন্সী আব্দুর রহমান তালুকদারের আমলে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে। এ বাড়ির কারুকার্য খুব সুন্দর যা সেকালের নিদর্শনের বাহন হিসেবে আজও আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। হাতিশালে হাতি আর ঘোড়াশালে ঘোড়া থাকত এ বাড়িতে।
শতাধিক গৃহকর্মী, রাখাল আর অসংখ্য লোকজনে ভরপুর জমিদার বাড়িটি এখন প্রায় মানুষশূন্য। তবে এখনও জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে জমিদার বাড়িটির ইতিহাস ঐতিহ্য ও কারুকার্য দেখতে প্রতিনিয়ত ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। বিটিশ শাসন আমলে এরা জমিদারি পেয়েছিল। জমিদারি চালানোর জন্য পূর্বপূরুষেরা তাদের সন্তানদের সুদূর বিলেত, আমেরিকা ও কলকাতায় উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেন। জমিদারি প্রথার বিলুপ্তিতে পথে বসে যান জমিদাররা। কিন্তু শিক্ষাই তাদের আবারো মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখিয়েছে। জমিদারদের জায়গায় নির্মিত হয়েছে স্কুল, মসজিদ-মাদ্রাসা ব্যাংক, হাসপাতালসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। সিরাজগঞ্জের উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে এটি অন্যতম।


প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২২ | সময়: ৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ