রাজশাহীতে উর্ধ্বগতি সবজি ও ডাল, কমেছে ডিমের দাম

স্টাফ রিপোর্টার: সপ্তাহের শেষ দিনে রাজশাহীর বাজারে বেশির ভাগ সবজির দাম স্বাভাবিক থাকলেও কিছু কিছু সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কমেছে ডিমের দাম। শুক্রবার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এ সপ্তাহে কেজিতে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, ২০ টাকা বেড়ে এ সপ্তাহে গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজিতে। এছাড়া দাম অপরিবর্তিত থেকে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, পটল ৩০, করলা ৬০, আলু ২৫, কাঁচামরিচ ৬০-৮০, টমেটো ১২০ ও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে পূর্বের মূল্যে ৪৫ টাকা কেজিতে।
সবজি কিনতে আসা অসিত কুমার জানান, এ সপ্তাহে সকল সবজির দাম ঠিক আছে শুধু কয়েকটি সবজির দাম বেশি। এখন সবরকমের সবজির দাম কমে যাওয়ার কথা কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনী যেটি প্রতি সপ্তাহে সাধারণত লাগে শসা ও গাজর এগুলো দাম বাড়ানোটা অহেতুক বলে মনে করছি।
সবজি বিক্রেতা মনোয়ার জানান, এবার শুধু মাত্র রাজশাহীতে ফুলকপির চাষ হয়েছে। আর বাইরের সকল ক্রেতারা রাজশাহী থেকে এসে ফুলকপি কিনে নিয়ে যাচ্ছে তাই আমরা কম পাচ্ছি আর আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। শসা ও গাজরের আমদানি কম থাকার কারণে এ সপ্তাহে দামটা বেশি।
মুদিপণ্যের দাম গত সপ্তাহের মতো স্বাভাবিক থাকলেও সবজির সাথে তাল মিলিয়ে এ সপ্তাহে দাম বেড়েছে মসুর ডালের। গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে মসুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম গত সপ্তাহের মতো স্বাভাবিক রয়েছে।
মসুরের ডাল কিনতে আসা সীমা বেগম জানান, চিনির দাম বাড়ার পরে এখন নতুন করে শুরু হয়েছে মসুরের ডালের দাম বাড়ানোর কৌশল। প্রতি সপ্তাহে এ রকমের এক একটি পণ্যের দাম বাড়ানোটা মনে হয় তাদের কৌশল হয়ে গেছে। এখানে আমরা সাধারণ জনগণ অসহায় হয়ে পড়েছি। আমাদেরকে যা বলছে তাই মেনে নিয়ে চলতে হচ্ছে। এখাবে চলতে থাকলে হয়তো একদিন আমাদেরকে না খেয়ে মরতে হবে।
মসুরের ডাল বিক্রেতাসোহাগ জানান, এ সপ্তাহে ডালের আমদানিটা কম। আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী মসুরের ডাল পাইনি এবং যতটুকু পেয়েছি আমাদেরকে দাম বেশি দিয়ে কিনতে হয়েছে তাই আমরা কিছু দাম বেশিতে ডাল বিক্রি করছি। এদিকে গত দুই সপ্তাহে ডিমের দাম বাড়তি থাকলেও এ সপ্তাহে ডিমের দাম হালিতে ২ টাকা কমেছে। ২ টাকা কমে লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা হালি এবং সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা হালিতে।
প্রতি সপ্তাহে মাছের দাম বৃদ্ধি পেলেও এ সপ্তাহে দেখা গেছে মাছের দাম গত সপ্তাহের মতো স্বাভাবিক রয়েছে। শুধু দুই একটি মাছের দাম বাড়তি রয়েছে। ২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে এ সপ্তাহে বাইং মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা, গত সপ্তাহের চেয়ে ১০০ টাকা বেশিতে রিঠা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা কেজিতে। এছাড়া পূর্বের মূল্যে চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার, পাবদা ৩৫০, আইর ৬০০, মিরিকেট ১৮০, রুই ২৫০ ও সিলভার ১৮০ টাকা কেজিতে।
মাছ কিনতে আসা টিপু মিয়া জানান, এ সপ্তাহে মাছের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে মাছের দামটা আর একটু কমলে হয়তো আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আরো ভালো হতো। মাছ বিক্রেতা অক্ষয় জানান, প্রতি সপ্তাহে মাছের দাম বেশি থাকলেও এ সপ্তাহে মাছের দাম কমেছে। নদীর পানি কমেছে তাই মাছ বেশি পাওয়া যাচ্ছে এ কারনেই মাছের দাম কমেছে। আস্তে আস্তে আরো কমে যাবে আসা করছি। আর যে কয়েকটি মাছের দাম বেশি সেগুলো আমদানি কম থাকার কারণে দাম বেশি।
এছাড়া সপ্তাহের শেষ দিনে রাজশাহীর বাজারে মুরগি, গরু ও খাশির মাংশের দাম গত সপ্তাহের মতো স্বাভাবিক রয়েছে। এ সপ্তাহে দাম অপরিবর্তিত থেকে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৭০, সোনালী ২৯০ ও দেশী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকা কেজিতে। অপরিবর্তিত থেকে গরুর মাংশ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা ও খাশির মাংশ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকা কেজিতে। এছাড়া সপ্তাহের শেষ দিনে রাজশাহীর বাজারে অন্যান্য পণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে।


প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২২ | সময়: ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ