নারীর বিরুদ্ধে ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা নেয়ার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারা: রাজশাহীর বাগমারায় নিলুফা ইয়াসমিন নামের এক নারীর বিরুদ্ধে ভূয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগের নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে সুবিচার ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন তিনজন ভূক্তভোগী।
ওই তিনজন বাগমারা প্রেসক্লাবে এসেও এমন প্রতারণার বর্ণনা দিয়েছেন। তারা টাকা ফেরতসহ ওই নারীর প্রতারনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে নিলুফা ইয়াসমিন বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আয়া পদে কর্মরত। সে তার প্রতিবেশী কয়েকজন কে চাকরী দেয়ার প্রলোভন দেখান। তার প্রলোভনে একই গ্রামের তিনজন চাকরী পাবার আশায় নিলুফাকে টাকা দেয়। তাদের মধ্যে আয়া পদে একজন এবং মালী পদে একজনকে চাকরী দেয়ার কথা বলা হয়। তাদের মধ্যে আবুল কাশেম মন্ডলের ছেলে বাবুল আক্তারের কাছ থেকে এক লাখ বিশ হাজার, তার বোন শাহানাজ আক্তার পপির কাছ থেকে এক লাখ পয়তাল্লিশ হাজার এবং একই গ্রামের আবুল কাশেম প্রামানিকের ছেলে উমর আলীর কাছ থেকে এক লাখ ছত্রিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় নিলুফা ইয়াসমিন।
এদিকে টাকা নেবার পর রাজধানী ঢাকার উত্তরার ঠিকানায় বিএসএস সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেড লেখা প্যাডে তাদেরকে ভূয়া নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়। জরুরী চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিএসএস সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেড এর মাধ্যমে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে তাদেরকে সিভিল সার্জন রাজশাহীর আওতাধীন বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শর্ত সাপেক্ষে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এমন কথা উল্লেখ রয়েছে ওইসব নিয়োগপত্রে।
নিয়োগ কর্তা হিসেবে বিএসএস সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই নিয়োগপত্র নিয়ে ওই তিন চাকরী প্রত্যাশীকে সঙ্গে নিয়ে নিলুফা ইয়াসমিন প্রথমে গোদাগাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখানে নিয়োগপত্র সঠিক নয় মর্মে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। পরে তাদের নিয়ে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে যান। সেখান থেকেও তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়।
প্রতারিত বাবুল আকতার ও শাহানাজ আক্তার পপি বলেন, তাদেরকে নিয়ে নিলুফা ইয়াসমিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে নাটক করেছেন। এদিকে প্রতারিত উমর আলী বলেন, আমি গরীব মানুষ, নিলুফার বাড়িতে এক সময় কাজ করে সংসার চালাতাম। আমার সঙ্গে এমন প্রতারণা করা তার উচিত হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদা খানম বরাবর অভিযোগ দেয়া হলে উভয় পক্ষকে তিনি নোটিশ করেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ভূক্তভোগী তিনজন উপস্থিত হলেও উপস্থিত হননি নিলুফা ইয়াসমিন।
এ ব্যাপারে নিলুফা ইয়াসমিন জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কোন প্রমাণ নাই। স্বাক্ষাতে কথা বলতে চাই বলে তিনি ফোন কেটে দেন।


প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২২ | সময়: ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ