সর্বশেষ সংবাদ :

বান্দরবান সীমান্তে গুলি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ৩০ পরিবারকে

সানশাইন ডেস্ক: মিয়ানমারে গোলাগুলির ঘটনায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ৩০টি পরিবারকে। এসব পরিবার তাদের আত্মীয়স্বজন ও একজন স্থানীয় ইউপি সদস্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
শনিবার দুপুর ১টার দিকে সীমান্তের ওপার থেকে আসা একটা গুলি নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের দোছড়ি বাজারের পশ্চিমে দিকে এসে পড়েছে বলে জানিয়েছেন দোছড়ি ইউপির চেয়ারম্যান মো. এমরান। এ ঘটনায় নিরাপদে রাখার জন্য শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সীমান্তঘেঁষা ৩০টি পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে জানান নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যার নুরুল আফছার।
রোববার তিনি বলেন, “যেসব পরিবারকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে তারা আমার ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আমতলি ও চেরার মাঠ এলাকায় সীমান্তের আধ কিলোমিটার থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে পড়েছে। “তাদের মধ্যে কিছু পরিবার নিজেদের পছন্দমত আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে উঠেছেন। বাকী পরিবার চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও মোস্তফা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
“এসব পরিবারের কেবল নারী-শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের নিয়ে আসা হয়েছে। পুরুষরা আসেননি, তারা ধানক্ষেত ও গবাদি পশু দেখাশুনার জন্য রয়ে গেছেন।” তিনি বলেন, পরিস্থিতি ভাল না হলে সীমান্ত এলাকায় বসবাস করা আরও এক থেকে দেড়শ পরিবারকে সরিয়ে নিয়ে আসা হবে। এসব পরিবারকে চাকঢালা জুনিয়র হাই স্কুলে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ঠিক করে রাখা হয়েছে। “
তবে রোববার সকাল থেকে সীমান্ত পরিস্থিতি আপাতত শান্ত রয়েছে, কোনো গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি বলে জানান এই ইউপি চেয়ারম্যান। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সীমান্ত এলাকায় রাখাইনদের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির (এএ) অবস্থান রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে চালাতে গিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মিদের মধ্যে এসব গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি জানতে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি-১১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক রেজাউল করিমকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। অন্যদিকে সরিয়ে আনা পরিবারদের বিষয়ে জানতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌসকে একাধিক বার ফোন করা হলে তিনিও রিসিভ করেননি।
এর আগে শুক্রবার রাতে তুমব্রু সীমান্তের পর দোছড়ি ইউনিয়ন ও নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চাকঢালা সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তখন মাইকিং করে একেবারে সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান করা লোকজনদের আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো।


প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২২ | সময়: ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ