রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
নিয়ামতপুর প্রতিনিধি: নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার কানইল-ধর্মপুর খালের পাড় থেকে অবাধে সরকারি গাছ কাটা হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ থেকে ইচ্ছে মত কাটা হচ্ছে ঐ গাছগুলো।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১০ বছর আগে ওই খালের দুপাড়ে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে লাগানো হয় শিশুসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। হঠাৎ গত এক সপ্তাহ ধরে দেদারছে গাছগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে উপজেলা কানইল গ্রামের মিনারুল ইসলামের ছেলে রাকিবুল হাসান রাকিব। প্রায় ৫-৬ জন লেবার দিয়ে কাটা হচ্ছে ঐ গাছগুলো। প্রায় ২২ থেকে ২৫টি গাছ কাটা হয়েছে। গাছগুলো কেটে ডাঙ্গাপাড়া প্রেট্রোল পাম্পের পাশের্^র স মিলে রাখা আছে বলে জানা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কয়েকজন লেবার গাছগুলো কাটছে। এলাকাবাসী আরো জানায়, খাল খনন করে পাহাড়ের উপর বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) গাছগুলো লাগিয়েছিল। গাছগুলো তাদের। লেবারদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা কানইল গ্রামের রাকিবের কথামত এখানে গাছ কাটতে এসেছে।
এ বিষয়ে কাঠ ব্যবসায়ী রাকিবুল হাসান রাকিব বলেন, আমি ধরমপুর গ্রামের মজিদ মেম্বারের ছেলে রায়হান ও লতিফের ছেলে আরিফের কাছ থেকে গাছ কিনে নিয়েছি। তারা বলেছে গাছগুলো তাদের পৈত্রিক সম্পত্তির উপর রয়েছে। আমি মোস্তাকুর এর কাছ থেকে ৯টি গাছ, রায়হানের কাছ থেকে ৯টি এবং আরিফ এর কাছ থেকে ৮টি গাছ ক্রয় করেছি। আমি তাদের বলেছি, যদি কোন সমস্যা হয় তার দায়ভার আপনাদের নিতে হবে।
মজিদ মেম্বরের ছেলে রায়হান, লতিফের ছেলে আরিফ বলেন, গাছগুলো আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তির উপর রয়েছে। যখন খাল খনন করা হয় হয় আমাদের জমির উপর মাটি ফেলে পাহাড় করে ফেলে। গাছগুলো এমনিতেই হয়েছে। এর আগে অনেকে আমাদের অজান্তে কেটে নিয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে আমরাই গাছগুলো বিক্রি করেছি।
সহকারী প্রকৌশলী (বিএমডিএ) হারুন-অর-রশিদ বলেন, আমি নতুন এসেছি। গাছগুলো আমাদেরই। আমাদের অজান্তে কে বা কারা গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছে।
এ রির্পোট লিখা পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের হয়নি।