দুর্গা উৎসবে গ্রামে এসে সংবর্ধনায় সিক্ত যুগ্ন-সচিব রথীন্দ্রনাথ

নুরুজ্জামান,বাঘা : শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে পাঁচ দিনের ছুটিতে বাড়ী এসছেন বাঘার কৃতি সন্তান রথীন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি সম্প্রতি উপ-সচিব থেকে যুগ্ন সচিব পদে পদন্নোতি পেয়েছেন। তাঁকে পেয়ে খুশি এবং আবেগ আপ্লুত হয়েছে এলাকাবাসী।

ইতোমধ্যে তাঁকে সংবর্ধনা দেয়া-সহ ফুলে ফুলে সিক্ত করেছেন নিজ গ্রামবাসী, বাঘা প্রেস ক্লাব, বনিক সমিতি, শিক্ষক সমিতি, হিন্দু বৌদ্ধ খিষ্টান ঐক্য পরিষদ, বাঘা কেন্দ্রীয় পূজা উৎযাপন কমিটি ও বিভিন্ন সামাজি ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। আবার অনেকেই তাঁকে কাছে পাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষমান। এ সব সংবর্ধনায় অনেকেই তাঁকে রাজনীতির খাতায় নাম লিখানো সহ-আরো উচ্চ পর্যায়ে যাওয়া আশা ব্যক্ত করে বক্তব্য রেখেছেন।

তবে রথীন্দ্রনাথ এসব বক্তব্য শুনে তাঁর অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, মানুষ আপন টাকা পর-টাকা ছেড়ে মানুষ ধর।আমার কোন রাজনৈতিক বিলাস নেই। আমি আমার সীমিত সাধ্যের মধ্যে মানুষের কল্যানে কাজ করতে চাই। আমার ধর্ম মানবতা। আমার কাছে দেশ মানে সকল জাতি একই মায়ের সন্তান। আমি এই জনপদের মানুষ হিসাবে প্রতিবছর শারদীয় দূর্গোৎসব এবং রমজানের ঈদে বাড়ী এসে এলাকার মানুষের সাথে দেখা করি এবং মানুষের হাতে কিছু উপহার তুলে দেয়ার চেষ্টা করি।কারণ আমি আপনাদের ভালোবাসায় মাঝে বেঁচে থাকতে চাই।

রথীন্দ্রনাথ সোমবার সকালে বাঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়ন শীর্ষক এক সেমিনারে বলেন, স্বপ্ন সেটা নয়, যেটা তুমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখ। স্বপ্ন হলো সেটায় , যেটা পূরনের প্রত্যাশা তোমাকে ঘুমাতে দেয়না। তিনি বলেন, ছাইয়ের ভেতরে থাকা আগুন অনেক সময় পূস্পটিত হয়। আমি তার একটি উদাহারণ। আমি ১৯৯১ সালে এই জনপদ থেকে প্রথম বাঘা শাহদৌলা কলেজ থেকে (এইচ.এস.সি) পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করে ছিলাম। যেটা এর আগে কেউ পারেনি। একই ভাবে অত্র অঞ্চল থেকে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাই।

তিনি বর্তমান সরকারের উন্নয় কর্মকান্ড তুলে ধরে বলেন, এই সরকার আমলে সারা দেশে অভূত পূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরনে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁর সু-যোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমি এর আগে ঢাকা থেকে বাড়ী আসতে সময় লাগতো সাত ঘন্টা। অথচ এবার পূজোয় বাড়ি এসেছি মাত্র চার ঘন্টায়।

এদিকে রথীন্দ্রনাথ দত্তের সংবধর্না অনুষ্ঠানে পূথক পৃথক ভাবে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইদুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনজারুল ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মীর মোঃ মামুনুর রহমান, বাঘার সাবেক চেয়ারম্যান ও সমাজ সেবক খন্দকার মনোয়ারুল ইসলাম মামুন, বাঘা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল লতিব মিঞা, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান, উপজেলা হিন্দু বদ্ধ খিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা অশিত কুমার ওরুপে বাকু পান্ডে, পূজা উৎযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অপুর্ব কুমার সাহা, বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, সাংবাদিক আমানুল হক আমান , আক্তার হোসেন, আসলাম আলী প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, পৃথিবীতে কেউ সাফল্যের চামচ নিয়ে জন্মলাভ করে না। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সবকিছু অর্জন করতে হয়। প্রবাদ আছে, ‘পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি’। মানুষ যদি তার লক্ষে অটুট থাকে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে, তবে একদিন সে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছতে পারে। পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক সফল ব্যক্তির নাম স্বর্ণাক্ষারে লেখা আছে। যুগে যুগে, কালে কালে যারা স্মরণীয় ও বরণীয় হয়েছেন, প্রকৃত পক্ষে তাদের সাফল্যের পেছনে লুকিয়ে আছে কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়। আধুনিক বিশ্বে যা কিছু আবিষ্কার হয়েছে সবই পরিশ্রমের ফসল। রথীন্দ্রনাথ তারই একটি উদাহারণ। আমরা তার উত্তরোত্তর উত্তরোত্তর ভবিষ্যৎ ও সাফল্য কামনা করছি।


প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২২ | সময়: ৫:৫৪ অপরাহ্ণ | সানশাইন

আরও খবর