দারিদ্র্য ডিঙিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন পূরণ

নুরুজ্জামান,বাঘা : সফল মানুষের সাথে অসফল মানুষের পার্থক্য শক্তি বা জ্ঞান নয়। পার্থক্যটা হলো, সত্যিকার সফল হওযার ইচ্ছে। সাফল্যের জন্য আপনাকে মূল্য দিতে হবে ভালোবাসা , কঠোর পরিশ্রম , অধ্যাবসায় , আর স্বপ্নকে বাস্তব হতে দেখার জন্য ব্যর্থতার পরও কাজ করে যাওয়া। এমন একজন শিক্ষার্থীর নাম চুমকি খাতুন ।

ছোট বেলায় বাবা কে হারিয়েছে। মা’ উপজেলা প্রকৌশলীর একটি প্রজেক্টে মাটি কাটার কাজ করেন ।শত প্রতিকুলতা এবং দারিদ্রের সাথে লড়ায় করে সে এ বছর মেধা তালিকায় রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। তবে কথায় বলে, সাধ আছে তো সাধ্য নাই। এমন অবস্থা দাড়িয়ে এখন চুমকির জীবনে। তবে এ খবর শুনে ইতোমধ্যে তার ভর্তির ব্যবস্থা করেছেন বাঘা উপজেলার মানবিক কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান।

চুমকি খাতুন এর বাড়ী বাঘার উত্তর মিলিক বাঘা গ্রামে। তার পিতার নাম মিজানুর রহমান । তার বয়স যখন দেড় বছর তখন সে পিতাকে হারিয়েছে। মাতা’ নাজমা বেগম অন্যের বাড়িতে কাজ করা-সহ দারিদ্রের সাথে লড়াই করে অনেক কষ্টে তার একমাত্র মেয়ে চুমকি খাতুনকে পড়া-লেখা শিখিয়েছেন। এখন তাঁর একটায় চিন্তা, মেয়েকে কি করে বিশ্ব বিদ্যালয় পাশ করাবেন।কারণ উন্নত শিক্ষার জন্য চাই প্রচুর অর্থ।

বাঘা উপজেলা কষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, মেধা একটি সম্পদ, আর সেই দৃষ্টিকোন থেকে মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তোলার দায়িত্ব পরিবার, সমাজ এবং রাষ্টের। বিশেষ করে যখন কোনো সমাজে বা রাষ্ট্রে মেধাবী মানুষদের সংখ্যা বেশি থাকে, তখন তাদের মেধাশক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে সেই সমাজ বা রাষ্ট্র উন্নয়নের পথে এগিয়ে যায়।

তিনি বলেন, এই মেধাশক্তির বিকাশ একক ভাবে উত্তরণ করা সম্ভব নয়, প্রয়োজন সমন্বিত প্রচেষ্টা। আমি আশাবাদী, একদিন মানুষ সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সবার উপকারে আসবে। একদিন এই চুমকি তার বুদ্ধিমত্তা ও সৃজনী শক্তির মাধ্যমে পারদর্শী হয়ে শুধু নিজের ব্যক্তিগত জীবনেই নয়, জাতি ও দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় তাঁর অবদান রাষ্ট্রীয় ভাবে প্রতিফলিত হবে।


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ | সময়: ১১:২৬ অপরাহ্ণ | সানশাইন