সর্বশেষ সংবাদ :

আজ থেকে কার্ডধারীরা ৩০ টাকা দরে মাসে ২ বার চাল পাবেন

সানশাইন ডেস্ক: নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে খোলা বাজারে চাল বিক্রি বা ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ওএমএস কার্যক্রমে টিসিবির কার্ডধারীরা ১৫ দিন পর-পর ৫ কেজি করে ৩০ টাকা কেজি দরে মাসে দুইবারে মোট ১০ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবেন।
সম্প্রতি ওএমএস ও টিসিবির কার্যক্রম সমন্বয়ের মাধ্যমে খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় প্রক্রিয়া সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, পাবলিক ফুড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের (পিএফডিএস) আওতায় খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রি একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি। খাদ্যশস্যের বাজার মূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ করে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে মূল্য সহায়তা দেওয়া এবং বাজার দর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। আগামী ০১ সেপ্টেম্বর থেকে পরিচালিত ওএমএস কার্যক্রমে টিসিবির কার্ডধারীদেরকে সমন্বয় করে খাদ্যশস্য বিতরণ করার লক্ষ্যে নিম্নরূপ পদ্ধতি অনুসরণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো-
ওএমএস কার্যক্রমে চাল বিক্রয় করার জন্য ক্রেতাদের ২টি লাইন করতে হবে। একটি লাইনে সাধারণ ক্রেতা এবং অপর লাইনে টিসিবির কার্ডধারীরা দাঁড়াবেন। কার্ডধারীদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাল দিতে হবে। ডিলারের কাছে সংশ্লিষ্ট দিনের চালের বরাদ্দ শেষ হয়ে গেলে পরে আসার অনুরোধ জানাতে হবে।
পাক্ষিক ৫ কেজি করে মাসে ২ বার মোট ১০ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবেন। টিসিবির কার্ডধারীদেরকে চাল দেওয়ার পর ওএমএস ডিলাররা টিসিবির কার্ডের পেছনে নমুনা সিল পাঞ্চিং মেশিন দিয়ে কার্ডের ওপরে প্রতিবারের জন্য ১টি ছিদ্র করে দেবেন। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন থেকে ডিলারের কার্যক্রম তদারকি করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।
জনপ্রতি নির্ধারিত পরিমাণ চাল, আটা বিক্রয় ও বিক্রিত খাদ্য শস্যের মাস্টার রোল ডিলাররা তৈরি করে সংরক্ষণ করবেন। ওএমএস বিক্রয় কেন্দ্র সহজে চিহ্নিতকরণের জন্য দোকান, ট্রাকে প্যানাফ্রেক্স (লাল রং) ব্যানার (৬ ফুট- ৩ ফুট) টানাতে হবে এবং প্যানাফ্লেক্স (লাল রং) ব্যানারে মাথাপিছু সর্বোচ্চ কত কেজি চাল আটা দেওয়া হবে এবং প্রতিকেজির মূল্য কত টাকা তা উল্লেখ থাকতে হবে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকউপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা ও এমএস কমিটির সভা আয়োজনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং সভা আয়োজনের পর লোকাল ক্যাবল টেলিভিশনের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। কর্মসূচির শুরুর প্রথম দিন অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা এক বা একাধিক কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করবেন।
প্রথম পর্যায়ে প্রচারের জন্য বিক্রয় কেন্দ্রের কমান্ড এরিয়াতে ঢোল ও মাইকিং-এর ব্যবস্থা করতে হবে যাতে সাধারণ মানুষ জানতে পারে। আঞ্চলিক জেলা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন। প্রতিদিন বিকেল ৫টার মধ্যে সকল আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা ই-মেইলের মাধ্যমে খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় সম্পর্কিত তথ্য খাদ্য অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে। খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পরের দিন সকাল ১০টার মধ্যে সকল তথ্য সমন্বিত করে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে জানাবেন। খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় (ওএমএস) নীতিমালা, ২০১৫ এর সকল নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২২ | সময়: ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর