লেবু নিয়ে বিপাকে বাগাতিপাড়ার চাষীরা

বাগাতিপাড়া প্রতিনিধিঃ

লেবুর দাম নিম্নমুখী হওয়ায় বিপাকে পড়েছে বাগাতিপাড়ার লেবু চাষীরা। উৎপাদন বেশি কিন্তু বাজারে ক্রেতা সংকটের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। হালিতে বিক্রি হওয়া লেবু এখন বিক্রি হচ্ছে কেজির ওজনে। এক কেজি লেবুর খুচরা মূল্য ৪(চার) টাকা। গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার মালঞ্চি, দয়ারামপুর, তমালতলা ও জামনগরসহ আশপাশের কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

 

বুধবার মালঞ্চি হাটে কথা হয় লেবু বিক্রেতা বড়পুকুরিয়া গ্রামের আব্দুল জলিলের সাথে। তিনি জানান, চলতি মৌসুমে তার বাগানে বেশ লেবু এসেছে। লেবু উত্তোলন করে আড়ৎ’র বিক্রি করতে গিয়েছিলেন। প্রতি কেজি দুই টাকা বলায় সেখানে না দিয়ে আস্তে আস্তে হাটে হাটে বিক্রি করছেন। এতে বেশির ভাগ লেবু নষ্ট হচ্ছে। হাটে প্রতি কেজি ৫ টাকা দরে বিক্রি পাচ্ছে। প্রতি কেজিতে প্রায় ২০ থেকে ২৫টি লেবু ধরেছে। এতে প্রতি লেবুর দাম পড়েছে মাত্র ২০ পয়সা থেকে ২৫ পয়সা।

 

সোনাপাতিল মহল্লার লেবু চাষী সাদেক মন্ডল বলেন, তার নিজের দুই বিঘা জমিতে লেবু বাগান রয়েছে। এলাচি ও চায়না থ্রি জাতের লেবু চাষ করেছেন। বাগানে বিপুল পরিমাণে লেবু ধরেছে। কিন্তু ক্রেতা নেই। বাইরে থেকেও তেমন ক্রেতা এ অঞ্চলে আসছেন না। ফলে গাছ থেকে উত্তোলন না করায় বাগানেই মাটিতে পড়ে পঁচে যাচ্ছে।

 

মালঞ্চি রেল স্টেশন এলাকায় লেবুর আড়ৎদার কুদ্দুস ও জহুরুল জানালেন, চলতি মৌসুমে লেবু বিক্রি করে পরিবহণ খরচই উঠছে না। সংগ্রহ ও শ্রমিকের খরচ দিয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে অন্যান্য সবজিসহ প্রায় সব জিনিসের দামই বাড়ছে। কিন্তু লেবুর দাম দিন দিন কমে যাচ্ছে। এজন্য সরকারি ভাবে লেবু সংরক্ষণাগার স্থাপনের দাবী জানান তারা। নাহলে ভবিষ্যৎতে বাণিজ্যিকভাবে লেবু চাষে আগ্রহ হারাবেন কৃষকরা।

 

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোমরেজ আলী জানান, বাণিজ্যিকভাবে অনেক কৃষক লেবু চাষ করেছেন। তা ছাড়া বাগানের ছায়াতে কিংবা জমির আইল দিয়ে সাথি ফসল হিসাবেও কৃষকরা লেবু চাষ করছেন। তাতে করে চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২২৫ বিঘা জমিতে লেবু চাষ হয়েছে। বাজারে আমদানি বেশি হওয়ার কারণে লেবুর দাম বর্তমানে কিছুটা কম বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।

 

সানশাইন/তৈয়ব


প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২২ | সময়: ৮:৪৮ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine

আরও খবর