রহনপুর হয়ে সিঙ্গাবাদ রুটে ত্রি-দেশীয় ট্রেন চালুর দাবি

গোমস্তাপুর প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে বাংলাদেশের রহনপুর ও ভারতের সিঙ্গাবাদ রেলরুট দিয়ে (বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল) ত্রি-দেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর বিষয়টি চুড়ান্ত করার দাবি জানিয়েছে রাজশাহী অঞ্চলের জনসাধারণ। এ রুট দিয়ে বর্তমানে ত্রি-দেশীয় বানিজ্যে চালু রয়েছে ট্রেন।
রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হাসান বাদশা এ রুট দিয়ে রাজশাহী – কলকাতা যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া, সম্প্রতি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের সাথে দেখা করে রাজশাহী – কলকাতা রুটে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর দাবি জানান।
১৮৬২ সালে বৃটিশ আমলে এ রুট দিয়ে প্রথম অবিভক্ত পূর্ব বাংলার সাথে ভারতের রেল যোগাযোগের সূচনা হয়। ১৯৬৫ সালে পাক- ভারত যুদ্ধ শুরু হলে এ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
১৯৯০ সালে এ রুট দিয়ে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এখন এ রুট দিয়ে ভারত, নেপালকে ট্রানজিট দেয়ায় বাংলাদেশের সাথে ভারত হয়ে নেপালের রেল বানিজ্য চালু হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ- ভারতের মধ্যে যে ৫ টি রেলরুট চালু রয়েছে তার অন্যতম প্রধান রেলরুট হচ্ছে রহনপুর -সিঙ্গাবাদ।
ত্রি-দেশীয় রেল যোগাযোগের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে এ রুট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ রুট দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর বিষয়ে দু-দেশের জনপ্রতিনিধিরা কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া এ রুট দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হলে ভারতের মালদহ হয়ে সমগ্র ভারত যাতয়াত করতে পারবে।
তাছাড়া, ভারত- নেপালের সীমান্তবর্তী স্টেশন রক্সাল ও যোগবানীর দূরত্বও অনেক কম। বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালী রাষ্ট্রদূত এ রুট দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এছাড়া, সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামিও বাংলাদেশ – ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করে গেছেন।
এ প্রসঙ্গে এলাকার সাবেক সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিয়াউর রহমান জানান, রহনপুর রেলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করে রহনপুর – সিঙ্গাবাদ রেলরুট দিয়ে বাংলাদেশ – ভারত – নেপাল যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।


প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২২ | সময়: ৪:৫০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ