সর্বশেষ সংবাদ :

নানা অনিয়ম করেও বহাল তবিয়তে পবা ভূমি অফিসের ইমন

স্টাফ রিপোর্টার: পবা উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত নিউটিশন কাম সার্টিফিকেট এসিস্টেন্ট ইমরুল কাশেম ইমনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠলেও বহাল তবিয়তে তিনি চাকরী করছেন। এছাড়াও তিনি একই অফিসে দীর্ঘদিন কর্মরত আছেন। সরকারী বিধিমালা অনুযায়ী একজন সরকারী চাকুরীজীবী তিন বছরের বেশী একই কর্মস্থলে থাকতে পারবেন না মর্মে নিয়ম থাকলেও ইমন বছরের পর বছর পবা উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত আছেন। আর এ সুবাদে তিনি অবৈধ কাজ করে প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা আয় করছেন।
জমি নামজারী করতে আসা নওহাটা পুঠিয়া পাড়ার শাহজাহান অভিযোগ বলেন, তিনি দুইমাস পূর্বে জমির নামজারী করতে দেন। সেইসাথে প্রতিটি নামজারীর সরকারী ফি ছাড়াও অতিরিক্ত ৫ হাজার করে মোট ১০ হাাজর টাকা নেন ইমন। শুধু তার নিকট হতে নয়। যারাই নামজারী করতে আসেন তাদের নিকট হতেই তিনি এই ধরনের অর্থ জোরপূর্বক আদায় করেন বলে জানান তিনি। আর এই টাকা তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নামে আদায় করেন বলে অভিযোগ করেন তিনিসহ আরো অনেকে।
তিনি আরো বলেন, নামজারী হয়ে গেলে ডিসিআর দিতে অনেক হয়রানী করেন তিনি। ইমন একটি আতঙ্কের নামে পরিণত হয়েছে। এমন কোন ব্যক্তি নাই ইমনের হয়রানী ছাড়া এই ভূমি অফিস হতে যেতে পেরেছে। এই সকল ভূক্তোভোগিরা দ্রুত ইমনের এখান থেকে বদলীর দাবী করেন। শুধু বাহিরের লোক নয় খোদ পবা ভূমি অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইমনের কাণ্ডে অতিষ্ট বলে জানান তিনি।
ইমনের অনিয়ম ও দূর্নীতি ও অনৈতিক অর্থ লেনদেনের বিষয়ে জানতে পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে তিনি একেবারেই নতুন যোগদান করেছেন। অতিতে কি হয়েছে তিনি বলতে পারবেন না। তবে তাঁর সময়ে এই ভূমি অফিসে কেউ দূর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে ছাড় পাবে না। তবে এ বিষয়ে ইমনের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে মন্তব্য করে তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলার কথা বলেন।


প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২২ | সময়: ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর