সর্বশেষ সংবাদ :

বাগমারায় সূর্যের হাসি ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারা: রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার আচিনঘাট এলাকায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকের অবহেলায় পপি খাতুন (১৪) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার আচিনঘাটে সূর্যের হাসি ক্লিনিকে তার মৃত্যু হয়। পপি খাতুন মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের দরুজপাড়া গ্রামের কৃষক আকাশের স্ত্রী।
নিহতের দুলাভাই মোস্তাকিন জানান, তার শ্যালিকার প্রসব ব্যাথা শুরু হলে সোমবার রাতে উপজেলার আচিনঘাটে সূর্যের হাসি নামক ক্লিনিকে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরের দিন বেলা ১টা ১৬ মিনিটে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডা. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে অস্ত্রপাচারের (সিজার) মাধ্যমে পপি খাতুন পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। এরপর আর পপির জ্ঞান ফেরেনি।
এরপর ডা. সাইফুল ইসলাম নিজেকে বাঁচাতে কৌশলে রোগীকে উন্নত চিকিৎসার কথা বলে ক্লিনিকের নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মোস্তাকিন আরও জানান, ডাক্তার ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমার শালিকা মারা গেছে। আমরা ওই ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিকের শাস্তি দাবি করছি। এ ঘটনার পর ডা. সাইফুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে সূর্যের হাসি ক্লিনিকের এডমিন আজাদ আলী বলেন, বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডা. সাইফুল ইসলাম গৃহবধূ পপির সিজার করেন। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে ক্লিনিকের পক্ষ থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। সেখানে নেওয়ার সময় পথে তার মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. গোলাম রাব্বানী বলেন, সাইফুল ইসলাম নামে একজন ডাক্তার আছেন। তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজার করেন না। তিনি যদি নিজ দ্বায়িত্বে কোথাও সিজারিয়ান অস্ত্রপচার করে থাকেন তাহলে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে তিনি আরো বলেন, দুপুর ২ টার আগে তিনি কোনভাবেই সরকারি দ্বায়িত্বকে অবহেলা করে অন্য কোথাও কাজ করতে পারেন না।


প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২২ | সময়: ৪:৫২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ