মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারা : রাজশাহীর বাগমারা হাটগাঙ্গোপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে চেকবই সংকটে খাজনা পরিশোধ করতে পারছেন না ভূমি মালিকরা। এ কারণে সাধারণ মানুষা নানানভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
সূত্র জানায়, ঈদুল আজহার পূর্ব থেকে চেকবই বা দাখিলা সংকট চলছে। একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাট গাঙ্গোপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। রবিবার বেলা সাড়ে বারো ঘটিকার পর অনেকেই হাটগাঙ্গোপাড়া ভুমি অফিসে ভূমিকর দিতে এসে ফেরত গেছে।
হাটগাঙ্গোপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আউচপাড়া এবং শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ জমির খাজনা পরিশোধসহ দলিল দস্তাবেজ সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে আসেন। যার কারণে বর্তমানে অতি প্রয়োজনে কেউ জমিজমা বিক্রয় বা হস্তান্তর করতে পারছেন না।
৫নং আউচপাড়া ইউনিয়নের বেলঘরিয়া গ্রামের এক যুবক জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত। তিনি কিডনি ডায়ালাইসিস, চিকিৎসা, ওষুধ ক্রয় করতে গিয়ে আজ সর্বশান্ত। তিনি দুই দিন হাটগাঙ্গোপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এসেছেন। কিন্তু দাখিলা সংকটের কারণে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ঠিকমত নড়াচড়া করতে পারেন না। রোদে বের হতে সমস্যা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবেন। খাজনা পরিশোধ না করতে পারায় জমি বিক্রয় করতে পারছেন বলে অভিযোগ করে তিনি।
আউচপাড়া গ্রামের এক মধ্যবয়সী কৃষক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হয়ে জানান, বাবা আমি গরীব মানুষ, দুইদিন খাজনা দিতে গিয়ে ফেরত গেলাম। পাঁচশত টাকা মজুরিতে কাজ করি। এভাবে ঘুরতে থাকলে আমার পরিবারকে না খেয়ে থাকতে হবে।
ওই অফিসের স্টাফ সোহাগ জানান, তহশিলদার মিটিং এ গেছেন। তহশিলদারের অনুপস্থিতিতে তাকেই কাজ করতে হচ্ছে। ইউনিয়ন ভূমি অফিস হাটগাঙ্গোপাড়া ভারপ্রাপ্ত তহশিলদার সুফি আহম্মেদ বকসীর মুঠোফোনে জানতে চাইলে
তিনি জানান, প্রায় মাস খানেক থেকে দাখিলা সংকট চলছে। আর কতদিন দাখিলা সংকট থাকতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজ (সোমবার) থেকে দাখিলা সংকট/চেকবই সমস্যা থাকবে না।
বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমাদুল হাসান বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি। অচিরেই চেক বহির ব্যবস্থা করা হবে।