শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার: নানা বাধা বিপত্তি কাটিয়ে এবং আপনজনদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে কোর্টের রায়ে দুই নাবালোক সন্তান বুঝে পেল তার মৃত মায়ের বাড়িসহ সম্পত্তি। বুধবার বিকেলে বসুয়ায় নাবালোক সন্তানদের পক্ষে ঐ বাড়িসহ জমি বুঝে নেন খালা আয়েশা আক্তার চায়না। রাজপাড়া থানার এস আই কাজল কুমার নন্দী ঐ জমিসহ বাড়ি তার নিকট বুঝে দেন। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন হড়গ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, রাজপাড়া থানার ওসি তদন্ত মাঈদুল ইসলাম, হড়গ্রাম ইউপি ৯নং ওয়ার্ড সদস্য মোহাম্মদ আলী, ৮নং সদস্য মুঞ্জুর ও ৭নং ওয়ার্ড সদস্য জাকীর হোসেন এবং এস.আই রাজীবুলসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্য।
এ বিষয়ে আয়েশা আক্তার চায়না বলেন, তার বোন উর্মিলাকে স্বামী দেলোয়ার হোসেন মিলন ২০০৭ সালে অত্র জমি ক্রয় করে রেজিষ্ট্রি করে দেন। এরপর সেখানে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করা অবস্থায় ২০০৯ সালে স্বামী মিলন তার বোন উর্মিলাকে হত্যা করেন। সে সময়ে তার দুই পুত্র সন্তান রুদ্র মোহাম্মদ রোহানী মিথুন এর ছিলো মাত্র ৩ বছর এবং ছোট সন্তানের বয়স ছিলো মাত্র ৩ মাস। এ অবস্থায় ঐ দুই সন্তানকে লাশের সাথে বাড়ি থেকে বের করে দেন মিলনসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। সেই থেকে তিনি এই দুই সন্তানকে মাতৃস্নেহে লালন পালন করে বড় করে তুলছেন বলে জানান চায়না।
তিনি বলেন, এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে মামলা চলে। এরপর ২০১৬সালে ডিগ্রী পেয়ে বাড়িতে উঠলেও মিলন গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে জোর পূনরায় বাড়ির দখল নেন। আবারও মামলা করলে কোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেন এবং বাড়ি বুঝে দেয়ার পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেন। সেই নির্দেশ মোতাবেক বুধবার বিকেলে রাজপাড়া থানা পুলিশ বিকেলে বাড়ির অংশ কোর্টের আদেশ মোতাবেক বুঝে দেন। যার মৌজা বসুয়া, জে এল নং- ৭৬, আর.এস খতিয়ান নং- ১১৬, দাগ নং- ৩৩৩, রকম-ভিটা, পরিমান ১৪ শতকের কাত .০২৮৮৭৫।