সর্বশেষ সংবাদ :

রাজশাহীতে গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনি

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন বিজ্ঞান মনস্ক, ডিজিটাল মনস্ক’র পাশাপাশি তাই আমাদের ইতিহাস মনস্কও হতে হবে। আজকের তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য দরকার মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস। আজকের এই গবেষকগণ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পেতে অনেকদুর এগিয়ে যাবে। তিনি শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সের অষ্টম ব্যাচের সমাপনি ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে বাঙালি জাতির শোষণের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হওয়ার যুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হলো একটি জাতির স্বপ্নের নাম। যে স্বপ্ন জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায়। যে চেতনা বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল একটি গণতান্ত্রিক ও শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায়। মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির কাছে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা এবং যতদিন বাঙালি জাতি থাকবে ততদিন এই মুক্তিযুদ্ধই থাকবে শ্রেষ্ঠ গৌরবের অধ্যায় হিসেবে, অবিস্মরণীয় এক গৌরবগাথা হিসেবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। যে নেতার জন্ম না হলে, যে বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, সেই বাংলাদেশ পেতাম না। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আলাদা নয়।
তিনি বলেন গণহত্যা জাদুঘর খুলনায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশে কেবল রাজধানীমুখী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু গণহত্যা জাদুঘর খুলনায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে সেই প্রবণতাকে চ্যালেন্স ছুড়ে দিয়েছে। তিনি প্রশিক্ষণ কোর্সের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন গণহত্যা জাদুঘরের অজস্র কর্মকান্ডের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে-দেশব্যাপি মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন গবেষক তৈরীর এই উদ্যোগ বাংলাদেশের সামাজিক ইতিহাসের মানচিত্র বদলে দিবে। ইতিহাসর্চ্চারও বিকেন্দ্রীকরণ ঘটে গিয়েছে বা যাচ্ছে। তিনি শিক্ষকদের গবেষণায় আরো মনোযোগী হওয়ার আহবান জানান।
শেষে তিনি বলেন, আমরা পরিবর্তনের কথা বলছি। এখন থেকে থেকে ক্রেষ্ট নয়-দিতে চাইলে বই বা গাছ উপহার দিবেন। রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান কথা দেন আজ থেকে অতিথিদের আর ক্রেষ্ট নয়, বই বা গাছ দিয়ে তাঁদেরকে সম্মনিত করা হবে।
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি ছিলেন ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের চেয়ারম্যান ড. মুনতাসীর মামুন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের কোন ব্যক্তির নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য হবে না। তিনি ঢাকার ভিকারুন্নেসা স্কুল ও কলেজের নাম পরিবর্তনের আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাবি ভিসি প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, মহানগর আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। গবেষণা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন প্রশিক্ষণার্থী ড. সন্ধ্যা মল্লিক ও বঙ্গবন্ধু কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থী, বিভিন্ন বিষয়ে বিজয়ী শিক্ষার্থী, অভিভাবক, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।


প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২২ | সময়: ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ