রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মো. শাহাবুদ্দিন নামে এক সাংবাদিককে মারধর করেছে তিনজন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হলে নেওয়া হয়েছে।
গত রোববার দিবাগত রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের টিভি রুমে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং বিডি মর্নিং’র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম গিয়াসউদ্দিন কাজল ও তার দুইজন সহযোগী। তিনি বখ্শ হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও ইতিহাস বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তবে সহযোগীদের পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টিভি রুমে খেলা দেখার সময় কাজল সকলের সামনে ধূমপান করছিল। তখন শাহাবুদ্দিন তাকে নিষেধ করলে ওই ছাত্রলীগ নেতা তার ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে কাজল তার সহযোগীদের নিয়ে শাহাবুদ্দিনকে মারধর করে পালিয়ে যান।
ঘটনার পর হল প্রাধ্যক্ষকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ঘটনাস্থলে যাননি। বিক্ষুব্ধ হয়ে রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান নেন। সেখানে তারা ঘটনায় জড়িতদেরকে স্থয়ী বহিষ্কার ও প্রাধ্যক্ষকে অপসারণসহ তিন দফা দাবি তুলে ধরেন।
পরে উপ-উপাচার্যের আশ্বাসে রাত ৩টার দিকে তারা কর্মসূচি স্থগিত করেন। সোমবার বিকেল ৫টার মধ্যে তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে তারা আবার উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
ঘটনার ব্যাপারে হল প্রাধ্যক্ষ ড. শামীম হোসেন বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে হল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে মেডিকেল সেন্টারে দুইজন সহকারী প্রক্টরকে পাঠিয়েছি। এর কিছুক্ষণ পরে আমিও ওই শিক্ষার্থীকে দেখতে মেডিকেলে গিয়েছি। বিষয়টি মীমাংসার জন্য হল প্রাধ্যক্ষকে জানিয়েছিলাম কিন্তু হল প্রাধ্যক্ষের গাফিলতির কারণে বিষয়টি জটিল হয়েছে।
সাংবাদিকদের দাবির বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, তিনটি দাবির মধ্যে দুইটি বিষয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আর যেহেতু এখানে মারধরের ঘটনা ঘটেছে সেহেতু একটি তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা তদন্ত রিপোর্ট শৃঙ্খলা কমিটিতে জমা দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর এই গর্হিত কাজের জন্য প্রাধ্যক্ষকে মৌখিকভাবে ভর্ৎসনা করা হয়েছে। আমরা তাকে অপসারণ না করে আরেকবার নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ দিয়েছি।
সানশাইন/তৈয়ব