ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক নিয়ে ইরাকের নতুন আইনে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষোভ

সানশাইন ডেস্ক: ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে ইরাকে পাস হওয়া নতুন আইনের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে যে, নতুন এ আইন তাদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করেছে। এটা মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং ইহুদিবিদ্বেষ প্রচারের নামান্তর।
বৃহস্পতিবার ইরাকি সংসদ নতুন আইনটি অনুমোদন করেছে। ২০২০ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ যে চুক্তি (আব্রাহাম অ্যাকর্ডস) হয়, ইরাকের নতুন আইনটি তার বিপরীত মতাদর্শের।
ইরাক ইসরায়েল রাষ্ট্রকে কখনও স্বীকৃতি দেয়নি এবং ইরাকি নাগরিক এবং ব্যবসায়ীরা ইসরায়েলে যেতে পারেন না। এতদিন এমন একটি পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকলেও নতুন আইন কার্যকর করে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ইরাক। কারণ নতুন আইনের ফলে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার যেকোনো প্রচেষ্টাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে ইরাকে।
শিয়া নেতা মোকতাদা আল সদর এ আইনের প্রস্তাব করেছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিরোধী এই মোকতাদা আল সদর। তার নেতৃত্বাধীন জোট ইরাকের সাম্প্রতিক নির্বাচনে পার্লামেন্টে সর্বাধিক আসন জিতেছে।
ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আসাইব আহল-আল-হক’ কে প্রতিনিধিত্ব করেন ইরাকের সংসদ সদস্য হাসান সালেম। নতুন আইনের বিষয়ে তিনি বলেন, এ আইন পাস হওয়া কেবল ইরাকি জনগণের জন্য নয়, ফিলিস্তিন এবং হিজবুল্লাহর বীরদের জন্যও বিজয়।
এ আইন পাসের পর মোকতাদা আল সদর ইরাকি জনগণকে পথে নেমে উৎসব করতে বলেন। তার কথায় শত শত মানুষ বাগদারের রাস্তায় নেমে ইসরায়েলবিরোধী নানা স্লোগান দেন। আল সদরের একটি টুইটের পর তাহরির স্কয়ারে জড়ো হন তার সমর্থকরা।
আল সদর দলের আইনপ্রণেতারা বলেছেন যে, তারা এ আইন পাসের প্রস্তাব করেছেন যাতে ইরান-সমর্থিত বিরোধী দলগুলো অভিযোগ তুলতে না পারে যে, আল সদর সুন্নি এবং কুর্দিদের সাথে জোট গঠন করছে যাদের ইসরায়েলের সাথে গোপন সম্পর্ক থাকতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাবের বিষয়টি মাথায় নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইনসহ কয়েকটি উপসাগরীয় রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে এগিয়েছে।


প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২২ | সময়: ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ