বাগমারায় ৩০ বস্তা সারসহ ব্যবসায়ী আটক

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাগমারায় পাটচাষিদের জন্য সরকারি ভর্তুকীর ৩০ বস্তা সার জব্দ করেছে পুলিশ। দোকানে মজুদ রাখার অভিযোগে এক সার ব্যবসায়ীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম আমজাদ হোসেন (৪২)। সে উপজেলার ঝিকড়া ইউনিয়নের ক্ষদ্র ঝিকড়া গ্রামে। বুধবার সকালে একই ইউনিয়নের মদাখালী বাজারের দোকান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, মদাখালী বাজারের এক দোকানে সরকারি সার মজুত রেখে তা বিক্রি করা হচ্ছে বলে পুলিশের কাছে খবর আসে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সাদা পোশাকের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নজরদারি শুরু করে। দোকানে সরকারি সার মজুত ও বিক্রির বিষয় নিশ্চিত হওয়ার পর দোকানিকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সরকারি সার কিনে বিক্রির কথা স্বীকার করেন। ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যের কাছ থেকে সারগুলো কিনেছেন বলে স্বীকার করেন।
দুপুরের পর রাজশাহী সদর সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলক বিশ্বাস থানার পুলিশ ও বস্ত্র ও পাট অধিদফরের স্থানীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেনের দোকান থেকে ৩০ বস্তা সরকারি উদ্ধার করা হয়। এসব সারের মধ্যে ইউরিয়া ও ডিএপি সার রয়েছে। প্রতিটি বস্তায় ৫০ কেজি করে সার রয়েছে।
আটক হওয়া ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন জানান, তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুর রহিমের কাছ থেকে সারগুলো কিনেছেন। তবে সারগুলো সরকারি তা তিনি আগে জানতেন।
স্থানীয় বস্ত্র ও পাট দফতর সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২৪ মে) উপজেলার দুই হাজার ৪৬০জন পাট চাষিদের মধ্যে এই সার বিতরণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ঝিকড়া ইউনিয়নের ২৫০জন পাটচাষি রয়েছেন। তালিকাভূক্ত চাষিদের মধ্যে সার বিতরণ না করে সেগুলো পরিষদের একজন সদস্যকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তিনি সারগুলো গোপনে ওই ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, পরিষদে ফাঁকা জায়গা না থাকায় সারগুলো মদাখালী বাজারে রাখা হয়েছিল। বিতরণের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে সারগুলো জব্দ করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, চাষিদের সার আত্নসাতের কোনো ইচ্ছা তাদের ছিল না। বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, এই বিষয়ে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ অনুসন্ধান চালাচ্ছে।


প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২২ | সময়: ৫:২২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ