পায়ে হেঁটে দেশ ভ্রমণ

মতলুব হোসেন, জয়পুরহাট: দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর প্রতি উপলক্ষে ও করোনা আক্রান্ত পরবর্তী শারীরিক শক্তি স্বাভাবিক রাখতেই পায়ে হেটে দেশ ভ্রমণ করছেন এক যুবক। ঢাকা কেরানীগঞ্জের নতুন শুভাড্যার শচীন কুমার বর্মণের ছেলে সবুজ কুমার বর্মণ প্রবাল (৩৭)।
তিনি দেশের শেষপ্রান্ত দক্ষিণের টেকনাফ শুন্যরেখা থেকে পায়ে হেটে উত্তরের শেষপ্রান্ত তেতুলিয়ায় গিয়ে শেষ করবেন। সে শান্ত মরিয়ম অব ফ্যাসান টেকনোলজিতে’ ফ্যাসান ডিজাইন বিভাগের অর্নাস বর্ষের ছাত্র।
অধ্যায়নের পাশাপাশি সে ঢাকা বনানীর একটি ফ্যাশান হাউসে ডিজাইনার হিসাবে চাকুরী করেন। চাকুরীর পাশাপাশি তিনি সপ্তাহে শনিবার ও রবিবার ২’দিন পায়ে হেটে দেশ ভ্রমণ করচ্ছেন।
মঙ্গলবার সকালে জয়পুরহাটের পাঁচবিবির দরগাঁপাড়া অতিক্রম কালে এ প্রতিনিধিকে সবুজ বলেন, আমি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১২ দিন ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করি। করোনার নেগেটিভ রিপোর্টে বাসায় ফিরি কিন্ত আমার শরীর একেবারে দূর্বল হয়ে যায় এবং চোখে ভালো দেখতে পাই না। ভিটামিনযুক্ত খাবার ও নিয়মিত ঔষধ খেয়েও কিছুতেই আগের মত শরীরে শক্তি পাই না।
অবশেষে উচ্চ শক্তিশালী ঔষধ খাওয়া ছেড়ে দিয়ে খুব ভোরবেলা হাটাহাটি শুরু করি এবং কয়েক দিনের মধ্যেই শরীরও ভালো হতে লাগলো এবং চোখেও ভালো দেখতে পাই। শুধু ভালো খাবার ও ঔষধেই যে শরীর ভালো হয় না হাটার মাধ্যমে তার প্রমান পেলাম।
হাটাকে হ্যাঁ বলুন, থ্যারাপিকে না বলুন লেখা টি-শার্ট গায়ে জরিয়ে হেটে দেশ ভ্রমণের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন বলে তিনি জানান। সে পহেলা জানুয়ারী টেকনাফ থেকে যাত্রা শুরু করেন। প্রতিদিন গড়ে ৬০ কি.মি পথ অতিক্রম করলেও বিরতীহিন ১০০ কি.মি হেটে ২১ ফেব্রুয়ারী গন্তব্যস্থল তেতুলিয়ায় পৌছাবেন এমন আশাব্যাক্ত করেন সবুজ।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২ | সময়: ৮:০৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ