দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগে চ্যাম্পিয়ন যুব ক্রিকেট স্কুল

শাহ্জাদা মিলন
দীর্ঘ ১১ বছর পর দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেটের ফাইনাল শেষ হলো রাজশাহীর কালেক্টরেট মাঠে। পর্যাপ্ত ফান্ড না থাকায় প্রতিটি দলের ১৫ জন প্লেয়ারদের জন্য বসার চেয়ার ছিল না । মাত্র দশটি চেয়ার রাখা হয়েছিলো দল প্রতি। ছিলনা প্লেয়ারদের জন্য ছাউনি বা তাবু। তাতে আক্ষেপ ছিল না প্লেয়ার ও কর্মকর্তাদের । এতেও তারা সন্তুষ্ট কারন ১১ বছর পর দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগতো শুরু হয়ে ফাইনাল শেষ হলো। তবে ফাইনাল শেষেও কাপ তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে চ্যাম্পিয়ন হবার পর কাপ নিয়ে যে আনন্দ করবে সবাই সেই সুযোগটাও হয়নি।

এভাবেই শেষ হলো রাজশাহীর দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগের আয়োজন। সকাল দশটায় যুব ক্রিকেট স্কুল ও ছোটবনগ্রাম ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে যুব ক্রিকেট স্কুল ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে অর্নব ১৫ বলে ৩৮ ও সেজান ২২ বলে ৩৩ রান সংগ্রহ করেন। বিপক্ষ দলের শাওন ৪ ওভারে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট লাভ করেন।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ছোট বনগ্রাম ক্রিকেট ক্লাব ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান সংগ্রহ করে। ফলে ১১ রানের পরাজয় বরণ করতে হয় তাদের। যুব ক্রিকেট স্কুলের তানভির ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৩টি, রিদয় ও সিয়াম ৫ ও ১৬ রানের বিনিময়ে ২টি করে উইকেট লাভ করেন।

খেলা শেষে টুর্নামেন্ট কমিটির আহ্বায়ক নুরুজ্জামান নুরু বলেন,সীমিত বাজেটের কারনে ভালোভাবে টুর্নামেন্টের খেলা সম্পন্ন করলেও আয়োজনে ঘাটতি ছিলো। এবার এ টুর্ণামেন্টে এক লাখ নয় হাজার টাকার বাজেট ধরা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বমোট ৩৩ ম্যাচের বল কেনা, আম্পায়ারদের ম্যাচ প্রতি ৪০০ টাকা ধরে প্রতিদিন দুটি খেলায় ১৬০০ টাকা,স্কোরারের জন্য ৬০০ টাকা, পানি আনার লেবারের জন্য ৫০০ টাকা করে খরচ হয়েছে।

তিনি আরোও জানান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার বড় আয়ের উৎস ছিলো হাউজি। সেটা বন্ধ হওয়ায় বাজেট কম ছিলো। তার পরেও আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি ভালোভাবে সম্পন্ন করার।

মাঠেই চ্যাম্পিয়ন ট্রফি না দেয়ার বিষয়ে তিনি জানান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে দ্বিতীয় বিভাগর আরো কয়েকটি খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে । সেইসব খেলার ফাইনাল হওয়ার পর সময়সূচি বের করে সবাইকে একদিনে ট্রফিগুলো তুলে দেয়া হবে।

সামিয়ানা নাই কোন দলের প্লেয়ারদের জন্য এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,শীতকালে প্লেয়ারদের রোদ লাগেনা । তাই সামিয়ানা দেয়া হয় নি।

তবে দুই দলের কয়েকজন কর্মকর্তারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে। ম্যাচ শেষে কয়েকজনের বক্তব্য নেয়া হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা ও প্লেয়াররা জানান, অন্তত ১৫ টা করে চেয়ার ও সামিয়ানা বা রোদ থেকে বাঁচার জন্য অবশ্যই কিছু রাখা উচিত ছিলো।

সানশাইন/শামি


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২ | সময়: ৭:১৭ অপরাহ্ণ | সুমন শেখ