সর্বশেষ সংবাদ :

বড়দের পারফরম্যান্সে উজ্জীবিত বাংলাদেশের যুবারা

স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেটের একমাত্র বৈশ্বিক ট্রফিটি এসেছে যুব ক্রিকেট থেকে। যুবারা তাই একদিক থেকে বড়দের জন্যও প্রেরণার। তবে এবার নিউ জিল্যান্ডে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাফল্য দারুণভাবে নাড়া দিয়েছে যুবাদেরও। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ঐতিহাসিক জয় থেকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে অনুপ্রেরণার জ্বালানী খুঁজে নিচ্ছে বাংলাদেশ যুব দল।
আগামী রোববার গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই দিয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল শুরু করবে ট্রফি ধরে রাখার অভিযান। সেন্ট কিটসে জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিয়ে প্রস্তুতিও সেরে নিয়েছে দল। ২০২০ আসরে শিরোপাজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রকিবুল হাসান এবার দলের অধিনায়ক। টুর্নামেন্টপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এই বাঁহাতি স্পিনার জানালেন, নিউ জিল্যান্ডে বড়দের সাফল্য তারা উদযাপন করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে।
“সিনিয়র দলের নিউ জিল্যান্ডে ভালো করাটা অবশ্যই আমাদের প্রেরণা জোগাবে এখানে ভালো করায়। আশা করি, আমরাও তাদের মতো ভালো কিছুই করব। জয়টি আমরা সেলিব্রেট করেছি এখানেও। আমাদের সবার জন্য এবং পুরো দেশের মানুষের জন্যই খুব অনুপ্রেরণাদায়ক। বাংলাদেশ ক্রিকেটের স্মরনীয় জয়।” “আমাদের মধ্যে অনেক কথা হয়েছে এ ব্যাপারে। আমরা বিশ্বাস করেছি, সিনিয়ররা যখন নিউ জিল্যান্ডের মতো জায়গায় গিয়ে জিততে পেরেছে, আমাদেরও কঠিন কন্ডিশনে ভালো করা উচিত। সেখান থেকেই আমরা বিশ্বাস করি, ওয়েস্ট ইন্ডিজেও ভাল কিছু করতে পারব।”
বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের জন্য ‘ভালো করা’ মানে তো চ্যাম্পিয়ন হওয়াই! রানার্স আপ হওয়াও এখানে হতে পারে একরকম ব্যর্থতা। তবে চ্যাম্পিয়ন হওয়া তো নির্ভর করে নিজেদের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি আরও অনেক পারিপার্শ্বিকতার ওপর। রকিবুল বললেন, তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য সেমি-ফাইনাল।
“সব দলই তো বিশ্বকাপ জেতার জন্য আসে। সবার পরিকল্পনা থাকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। গত বিশ্বকাপে আমাদের সেই লক্ষ্য ছিল এবং আমাদের প্রস্তুতি, প্রসেস ও পরিকল্পনা সফল হওয়ায় শিরোপা জিতেছিলাম। এবার কোভিডের কারণে সেভাবে প্রস্তুতি নিতে পারিনি। তবে সব দলই একই কারণে প্রস্তুতির ঘাটতিতে আছে। আশা করি আমরা যে প্রস্তুতি নিয়েছি, সেটা সম্ভাব্য সেরা প্রস্তুতি।”
“সামনে যে ম্যাচগুলো আসছে, সেগুলোতে আমরা যদি পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন করতে পারি, তবে অবশ্যই ভালো কিছু করতে পারব। আমরা পরিকল্পনা করছি, অন্তত যেন সেমি-ফাইনাল খেলতে পারি। এছাড়া ছোট ছোট টার্গেট, যেমন গ্রুপ পর্ব, এক ম্যাচ করে এগোনো, এগুলো তো থাকছেই।” গত বিশ্বকাপ জয়ী দলে রকিবুল ছিলেন দলের কম বয়সী ক্রিকেটারদের একজন। তবু বল হাতে তিনি ছিলেন দলের বড় ভরসা। এবার তিনিই নেতৃত্বে। দায়িত্ব তাই আনুষ্ঠানিকভাবেই বেশি। এই চ্যালেঞ্জ জয় করেই দলকে লক্ষ্যে এগিয়ে নিতে চান তিনি।
“গতবার জুনিয়র হিসেবে ছিলাম। এবার আমি অভিজ্ঞ এবং নেতৃত্ব পেয়েছি। এটা আমার কাছে ভালো লাগে। নেতৃত্বটা উপভোগ করছি, বাড়তি দায়িত্বটাও আছে। চ্যালেঞ্জ নিতে আমার সবসময়ই ভালো লাগে। বিশ্বকাপে আসার আগে কিছু ঘরোয়া টুর্নামেন্টে বড় ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলেছি। সেটাও এখানে কাজে লাগবে।” “এবার আমরা যারা গতবারের দল থেকে আছি, সবাই চেষ্টা করছি বাকিদের বোঝাতে যে দল হিসেবে খেলতে হবে। দল হয়ে খেললে যে কোনো ম্যাচে ফল আসবে। একেক ম্যাচে যেন প্রয়োজনে একেক জন দাঁড়িয়ে যায়। এটা শেষ পর্যন্ত দারুণ কাজে দেয়।”


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২২ | সময়: ৬:৪০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ