সর্বশেষ সংবাদ :

এতিমদের সাথে কেক কেটে নতুন বছর উৎযাপন করলেন বাঘার ইউএনও

স্টাফ রিপোর্টার ,বাঘা : নতুন বছর মানেই নতুন উদ্দীপনা । আর এই উদ্দীপনায় বছরের দ্বিতীয় দিন এতিম শিশুদের নিয়ে মেতে উঠেন বাঘার ইউএনও পাপিয়া সুলতানা। রবিবার দুপুরে নিজ উদ্যোগে তিনি উপজেলার কল্যানী শিশু সদনের এতিম শিশুদের সাথে কেক কাটেন এবং দুপুরের খাবার খান । ইউএনওর এই কার্যক্রমে মুগ্ধ হন শিশু সদনের পরিচালক সহ এলাকাবাসী।

স্থানীয় লোকজন জানান, বাঘার ইউএনও পাপিয়া সুলতানা একজন মানবিক অফিসার । তিনি সফলতার সাথে সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশা-পাশি সমাজের দুস্থ ও অসহায় মানুষের উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা জোরদার করণে সর্বদা সচেষ্ট। তাঁর কাছে কোন অসহায় মানুষ গেলে কখনোই খালি হাতে ফিরেন না। বিশেষ করে শিক্ষার মান উন্নয়নে তিনি সমাজের গরিব এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের সর্বদা আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকেন।

সরের হাট কল্যানী শিশু সদনের পরিচালক ও ৭১ এর রনাঙ্গনের সৈনিক পল্লী চিকিৎসক ডা: সমেশ উদ্দীন বলেন, আমার এতিম খানার বয়স অনেক যুগ পেরিয়ে গেলো। তবে এ রকম মানবিক ইউএনও আমি এর আগে পাইনি। বর্তমান ইউএনও গত ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ বিজয় দিবসের দিন আমাদের এখানে এসে নিজ হাতে শিশুদের মাঝে উন্নত খাবার পরিবেশন করেন। এরপর মাস শেষে সকলকে একটি করে শীতবস্ত্র কম্বল উপহার দেন। অত:পর আজ রবিবার বছরের দ্বিতীয় দিন আমার কোমল মতি এতিমদের সাথে কেক কেটে নববর্ষ উৎযাপন করেন এবং শিশুদের হাতে খেলাধুলার সামগ্রী ও বই তুলে দেন। এতে করে শিশুরা অনেক আনন্দ পায়। তিনি আবেক আপ্লুত হয়ে বলেন,আমি এতিম খানা পরিচালনা করতে গিয়ে সাদা মনের মানুষ খেতাব পেয়েছি। তবে আজ থেকে এই খেতাব আমি বর্তমান ইউএনও ম্যাডামকে উপহার দিলাম।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড: লায়েব উদ্দিন লাভলু, উপজলো কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান, প্রানি সম্পদ অফিসার আমিনুল ইসলাম ও সমাজ সেবা অফিসার নাফিজ শরিফ সহ স্থানীয় এলাকাবাসী ।

এ বিষয়ে পাপিয়া সুলতানা বলেন, আমার কাজ হচ্ছে সরকারের উন্নয়কে গতিশীল করা সহ মানুষ এবং রাষ্ট্রের উন্নয়নে কাজ করা । পাশা-পাশি আমি মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই। আমার সাধ্য মোতাবেক আমি সমাজের অচ্ছল মানুষকে সহায়তার পাশা-পাশি গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের নানা ভাবে সহায়তা করার চেষ্টা করি। এতে করে আমি অনেকটা তৃপ্তি পাই।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার পূর্বে পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের সরেরহাট গ্রাম। ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন ওরফে ডা: শমেস ১২ শতাংশ জমি ক্রয় করে চালু করেন একটি এতিম খানা। যার নাম দেয়া হয় ‘সরেরহাট কল্যাণী শিশু সদন।’ পরে সেখানে এতিমদের পাশা-পাশি বৃদ্ধাশ্রম খোলা হয়। বাড়ানো হয় জমির পরিমান। বর্তমানে এই সদনে ১৪০ জন এতিমের পাশা-পাশি ৩০ জন বৃদ্ধ অবস্থান করছেন। আর তাদের সাথে বাস করছেন সমেশ দম্পতি।

এর আগে ইউএনও বাঘা উপজেলা সদরে একটি বনাঢ্য র‌্যালী করে জাতীয় সমাজ সেবাবা দিবস উৎযাপন করেন।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২২ | সময়: ৬:০৫ অপরাহ্ণ | সুমন শেখ