সোমবার, ১৫ই আগস্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে শ্রাবণ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার, চারঘাট : আগামী ২৬ ডিসেম্বর রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ৬ টি ইউনিয়ন পরিণদের নির্বাচনে ৬০ টি ভোটকেন্দ্রের সবগুলোই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক পর্যবেক্ষন শুরু করছে।
সবগুলো ভোট কেন্দ্রেই যাতে করে কেউ কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে এবং ভোটাররা শান্তিপুর্ণ ভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করতে পারেন সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছে স্থানীয় প্রশাসন। ইতিমধ্যে বিষয়টি সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চারঘাট থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে চারঘাট উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। এ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৪০ হাজার ১১৭ জন। উপজেলার মোট ৬০টি কেন্দ্রে ভোটাররা তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচনে ২৩ জন চেয়ারম্যান, ২২৩ জন সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৭৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে, নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারনা শুরু করেছেন। তবে এরই মধ্যে প্রার্থীরা একে অপরের কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, হামলা ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোসহ নানা অভিযোগ করেছেন নির্বাচন অফিসে। ইতিমধ্যে কয়েকটি ইউনিয়নে প্রার্থীদের নির্বাচনী অফিস পুড়িয়ে ফেলাসহ প্রার্থীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছেন।
নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই সহিংসতার অভিযোগ আসছে। এ নিয়ে দলীয়, বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচন অফিসে অভিযোগ করছেন। ভোটাররা সহিংসতার আশঙ্কা করছেন। ভোট কেন্দ্রে যাওয়া নিয়ে রয়েছে তাঁদের শঙ্কা।
মডেল থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৬০টি কেন্দ্রের সবগুলো কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে ভোটের আগে ও পরে যাতে করে কেউ কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা ঘটাতে না পারে এবং ভোটাররা যাতে করে নির্ভয়ে শান্তিপুর্ণ পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল আলম বলেন, ইতিমধ্যে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬০টি ভোট কেন্দ্রের সবগুলোকে ঝুকিপুর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা পর্যবেক্ষণে র্যাব ও পুলিশের পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবেন।