সর্বশেষ সংবাদ :

সিংড়ায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নৌকার কর্মী, স্বতন্ত্র প্রার্থীর মাইক ভাংচুর

সিংড়া প্রতিনিধি: নাটোরের সিংড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকার দলীয় (আ’লীগ) মনোনীত প্রার্থীর দাপটে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা অসহায় হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সহ অন্য রাজনৈতিক দলের কোন প্রার্থী চেয়ারম্যান এবং মেম্বার পদে নির্বাচনে অংশ নেয়নি।
এদিকে বুধবার রাতে উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের কুড়িপাকিয়া গ্রামে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ও আ’লীগ নেতা ইয়াকুব আলীর ছেলে আশীক ইশবাল (স্বতন্ত্র) চেয়াম্যান প্রার্থীর প্রচার মাইক ভাংচুর করা হয়। ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে সিংড়া উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নে (আনারস) মার্কা নিয়ে নির্বাচন করছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আশীক ইশবাল। আ’লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাড. মোফাজ্জল হোসেন মোফার কর্মি-সমর্থকরা রাতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আশীক ইকবালে প্রচার মাইক ভাংচুর করে।
এসময় আব্দুল আহাদ নামের একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আটককৃত আব্দুল আহাদ ওই ইউনিয়নের বনকুড়ইল গ্রামের বেলাল হাজীর ছেলে ও নৌকা প্রতীকের কর্মী বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। সুকাশ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আশীক ইকবাল বলেন, নৌকা প্রতীকের কর্মীরা আমার প্রচার মাইক ও ব্যাটারি ভাংচুর করার সময় স্থানীয় জনতা একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে, অন্যরা পালিয়ে গেছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছি।
অপরদিকে গত ৮ ডিসেম্বর উপজেলার কলম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থী মইনুল হক চুনুকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা এবং প্রতীক বরাদ্দের পর উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলতাফ হোসেন জিন্নার পক্ষে প্রচারণা চালাতে গিয়ে মাকসুদুর রহমান মামুনকে মারপিটের অভিযোগ উঠে নৌকার প্রার্থী জাহেদুল ইসলাম ভোলার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাড. মোফাজ্জল হোসেন মোফা বলেন, ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে গেছে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্র করছে বলে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেছেন।
সিংড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আনোয়ারুল ইসলাম আনু বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি সন্ত্রাসীদের পতন হোক। সাধারণ মানুষ যাকে ইচ্ছে তাকে ভোট দিবে এতে আমরা কাউকে কিছুই বলব না।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচনী প্রচার মাইক ভাংচুরের বিষয়ে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে থানায় আনা হয়। তদন্ত করে, রিটার্নিং কর্মকর্তার সাথে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, কেউ অপরাধ করলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং নির্বাচন সুষ্ট করতে সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২১ | সময়: ৬:০০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ