রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২৪তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রাঙ্গামাটি রিজিয়নের সার্বিক তত্বাবধানে ও রাঙ্গামাটি জোনের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশেষ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাঙ্গামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার কাপ্তাই হ্রদের মধ্যটিলা হতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত নৌকা বাইচের এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন উপজেলা হতে ৪টি ধাপে পুরুষ বড় নৌকা ১২টি দল, মহিলাদের বড় নৌকা ৮টি দল, পুরুষ সাম্পান নৌকা ১৬টি দল ও মহিলা ডিঙ্গি নৌকা ১৫টি দলসহ মোট ৫১টি দল অংশ নেয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, সদর দপ্তর ৩০৫ পদাতিক ব্রিগেড ও রিজিয়ন কমান্ডার (রাঙ্গামাটি রিজিয়ন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ ইফতেকুর রহমান পিএসসি, কর্ণেল জিএস (ডিজিএফআই) কর্ণেল সলমন ইবনে এ রউফ, সেক্টর কমান্ডার (বিজিবি সেক্টর রাঙ্গামাটি) কর্ণেল মোঃ তারিকুল ইসলাম, সিবিজিএমএস, জেলা পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শিল্পী রাণী রায়, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী প্রমূখ। এছাড়া সামরিক ও বেসামরিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিযোগিতায় চারটি ধাপে বিজয়ী মহিলাদের ডিঙ্গি নৌকা অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ১ম স্থান রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার কিল্ল্যামুড়া এলাকার মিতা ত্রিপুরা, ২য় স্থান মগবান এলাকার রিপা চাকমা, ৩য় স্থান কিল্লামুড়া এলাকার মিতা ত্রিপুরা(২)। পুরুষদের সাম্পান নৌকা প্রতিযোগিতার মধ্যে ১ম স্থান সাওতালপাড়া এলাকার জামাল ও তার সাথী, ২য় স্থান কিল্ল্যামুড়া এলাকার জলকান্তি ত্রিপুরা, ৩য় স্থান সুমন ও তার সাথী। মহিলাদের বড় নৌকার মধ্যে চ্যাম্পিয়ন কিল্ল্যামুড়া এলাকার আলোরানী ত্রিপুরা, ১ম রানার আপ কিল্ল্যামুড়া এলাকার চিকনা ত্রিপুরা, ২য় রানার আপ কিল্ল্যামুড়া এলাকার সুমিতা ত্রিপুরা। পুরুষদের বড় নৌকা অংশগ্রহণকারী দলের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন কিল্ল্যামুড়া এলাকার চিরমনি ত্রিপুরা, ১ম রানার আপ কিল্ল্যামুড়া এলাকার সবিল ত্রিপুরা, ২য় রানার আপ কিল্ল্যামুড়া এলাকার প্রশান্ত ত্রিপুরা।
প্রসঙ্গত, নয়নাভিরাম রুপের রানী হিসেবে আখ্যায়িত রাঙ্গামাটি জেলায় রয়েছে পাহাড়, নদী, ঝর্ণা, সবুজের বিশাল সমাহার স্বচ্ছ জলের মিলন মেলার নিবিড় সম্পর্ক। ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে কাপ্তাই বাঁধ নির্মানের ফলে কর্ণফুলী নদীতে সৃষ্টি হয় কৃত্রিম এই হ্রদ। কাপ্তাই লেককে ঘিরেই মূলত রাঙ্গামাটি জেলায় পর্যটন শিল্প গড়ে উঠেছে।