তানোরে প্রসূতিকে মারপিটে গর্ভের সন্তান নষ্ট

স্টাফ রিপোর্টার, তানোর : রাজশাহীর তানোরে জমিতে আলু কুড়াতে ডেকে নিয়ে এক দরিদ্র প্রসুতীকে মারপিট করে পেটের বাচ্চা নষ্টের ঘটনা ঘটিয়েছে এক প্রভাবশালী। এঘটনার ৫ দিন পর শনিবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত ছেলে সন্তান প্রসোব করেছেন ওই প্রসুতী। রবিবার দুপুরে মৃত পুত্র সন্তানকে তানোরে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
বর্তমানে ওই প্রসুতী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এঘটনায এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শি ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা গেছে, গত সোমবার সকালে তানোর পৌর এলাকার আমশো গ্রামের মৃত খেন্টুর পুত্র আলু শফিকুল ইসলাম তার জমিতে আলু কুড়ানোর জন্য একই গ্রামের ইমরান আলীর স্ত্রী (৮ মাসের অন্তসত্তা) ববিতাকে (৩০) বাড়ির পূর্ব পার্শ্বের আলুর জমিতে ডেকে নিয়ে যায়।
আলু কুড়ানোর এক পর্যায়ে শফিকুলের জামাইয়ের ভাই একই গ্রামের নাদের আলীর পুত্র রসুলের (৫০) সঙ্গে ওই প্রসুতীর কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রসুল ওই প্রসুতীকে বেধড়ক ভাবে কিল-ঘুষি ও লাথি মারে। একপর্যায়ে ওই প্রসুতী জমিতেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
এসময় খবর পেয়ে গ্রামবাসী ও পরিবারের লোকজন মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। ওই প্রসুতীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ দিন ধরে চিকিৎসারত অবস্থায় শনিবার রাতে ওই প্রসুতীর মৃত পুত্র সন্তান প্রসোব করেন। ওই প্রসুতীর ভাই সাইফুদ্দিন বলেন, আমার বোনকে অন্যায় ভাবে মারপিট করে পেটের বাচ্চা নষ্ট করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। তিনি বলেন থানায় গিয়েছিলাম পুলিশ বলেছে রোগী সুস্থ্য হয়ে আসলে থানায় অভিযোগ দিতে বলে ফিরিয়ে দিয়েছেন। এবিষয়ে জমির মালিক শফিকুল ইসলাম ও তার জামাইয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন মাত্র ১ টা থাপ্পর মারা হয়েছে।
তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, এবিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।