আসামী আটক না হওয়ায় শঙ্কিত ভূক্তভোগি পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর জিন্নাহ নগরে চলতি বছরের গত ২১ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১১টার দিকে মারামারি সংগঠিত হয়। এই মারপিটে ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ জনি গুরুতর আহত হন। তিনি নগরীর জিন্নাহ নগর এলাকার আব্দুল খালেক এর ছেলে তিনি।
এ নিয়ে ৩০ এপ্রিল রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানায় জিন্নাহ নগর এলাকার মৃত মুকুল হোসেনের ছেলে রুহুল আমিন (৩২) জামাল উদ্দিন এর ছেলে মেহেদী হাসান ডলার (২৮) ও মৃত মুকুল হোসেনের ছেলে রুহিত (২৫) অজ্ঞাত আরো ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার করেন আহত ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ জনির ছোট ভাই ইস্তিয়াদ আহমেদ।
ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ জনির আরেক ছোট ভাই ইমতিয়াজ উদ্দিন রিপু বলেন, গত এপ্রিল মাসের ২১তারিখ রাত আনুমানিক ১১টার দিকে জিন্নাহনগর বাসায় যাওয়ার পথে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল গেটের কিছু সামনে পাকা রাস্তায় আসলে পূর্ব হতে ওঁৎ পেতে থাকা আসামীরা একত্রিত হয়ে তার বড় ভাই ফয়েজ আহমেদ জনি (৪০) কে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ীভাবে মারধর করে।
তিনি আরো বলেন, তাঁর ভাইকে লোহার রড দিয়ে মুখে আঘাত করলে সঙ্গে সঙ্গে কেটে যায় এবং জখম হয়। এছাড়াও অন্যান্য আসামীরা জিআই পাইপ ও লোহার রড দ্বারা তাঁর ভাইয়ের ডান পায়ে এবং মাথায় আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। বর্তমানে আহত অবস্থায় তাঁর ভাই ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ জনি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নং ওয়র্র্ডে চিকিৎসাধীন আছেন ।
তিনি বলেন, মামলার প্রায় সপ্তাহ খানেক হয়ে আসলেও আসামীরা এখনো ধোরা ছোঁয়ার বাহিরে থাকায় তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা এলাকাতেই দাপটের সাথে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। সেইসাথে তাদের প্রতিনিয়ত প্রান নাশের হুমকি ও মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দ্রুত আসামীদের আটক করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানান।
এদিকে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফাকে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।


প্রকাশিত: মে ৬, ২০২৪ | সময়: ৫:৩০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ