সিসি ক্যামেরা এখন পাখির বাসা!

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগরীর পুরাতন জিপিও থেকে শুরু করে শ্রীরামপুর হয়ে বুলনপুর পর্যন্ত সড়কটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এসড়কটিতেই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাসভবন আছে। আছে গুরুত্বপূর্ণ লোকজনের যাতায়াত। সড়কটি ছিলো সিসি ক্যামরাও আওতায়। কিন্তু এখন সেই সিসি ক্যামরাটি নষ্ট হয়ে গেছে। শুধু কি নষ্ট হয়েছে। সিসি ক্যামেরায় শালিক পাখি বাসা বেধেছে। শহরজুড়ে সিসি ক্যামেরাগুলোর এখন বেহাল দশা।
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে মহানগরের নিরাপত্তা ও পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর জন্য ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ৬৫টি ক্যামেরা বসিয়েছিল রাজশাহী সিটি করপোরেশন। এতে ব্যয় হয়েছিল ৬৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের এ ৬৫টি ক্যামেরার মাধ্যমেই পুলিশ নজরদারি শুরু করে। এর আগে মহানগর পুলিশের উদ্যোগেও আটটি পয়েন্টে ১৬টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। কিন্তু রাজশাহী মহানগরের ওইসব সিসি ক্যামেরার অধিকাংশই অকেজো হয়ে যায়। এরপর থেকে মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে খুন, চুরি-ছিনতাই ও সড়কে যৌন হয়রানিসহ সব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে মহানগরজুড়ে ৫০০ ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিল। যার মাধ্যমে নগরীতে ঘটে যাওয়া অপরাধগুলোর সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত সনাক্ত করা যেত। কিন্তু সেসব ক্যামেরার বেশিরভাগ নষ্ট হয়ে গেছে। এদের বেশিরভাগই অকেজ। কোথাও অস্থিত্ব নেই। আবার যেখানে অস্থিত্ব আছে সেগুলোতে বাসা বেধেছে পাখি।
নগরীর শেখপাড়া এলাকার শাহিনুল ইসলাম জানান, সিটি ক্যামেরাগুলো চালু করা অতি প্রয়োজন। সিটি ক্যামেরাগুলো ঠিক না করলে নগরীতে অপরাধ বাড়বে।
মহানগরজুড়ে চুরি-ছিনতাই, যৌন হয়রানি ও খুনসহ যেকোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ ও দমনে পুলিশের নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করে এ সিসি ক্যামেরা। অপরাধীদের ধরতে পুলিশের কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যায় সিসি ক্যামেরা থাকলে।
নগরীর ভদ্রা এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শিক্ষানগর হিসেবে রাজশাহীর বেশ পরিচিতি আছে। কিন্তু এখানে বিভিন্ন ধরনের অপরাধও সংঘটিত হয়। তাই অপরাধ প্রবণতা কমাতে সিসি ক্যামেরাগুলো ভালোই কাজ করছিল। সাধারণ মানুষও অনেকটা নিরাপত্তা নিয়ে চলাচল করতে পারতো। তাই সিসি ক্যামেরাগুলো দ্রুত ঠিক করে আগের রূপে ফিরিয়ে আনা দরকার।


প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৪ | সময়: ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর