নাট্যকার শিমুলের উপর হামলার মামলায় ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাঘায় নাট্যকার শিমুল সরকারের উপর হামলার মামলায় প্রধান আসামী গড়গড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মামুনকে কারাগারে পুঠিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে রাজশাহী অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালত-৪ এ হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক সাইফুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদি পক্ষের আইনজীবী ফিরোজ আহম্মেদ রঞ্জু জানান, নাট্যকার ফিরোজ আহমেদ শিমুল সরকারকে কুপিয়ে জখমের মামলার ২ নম্বর আসামি ছিলেন হাফিজুর রহমান। তিনি বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক।
শিমুল সরকার, উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের সরেরহাট গ্রামের প্রয়াত সহকারি অধ্যাপক নুরল ইসলামের ছেলে। ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার বসিলা গার্ডেন সিটির বাসিন্দা শিমুল সরকার, টেলিভিশন এন্ড ডিজিটাল প্রোগাম প্রডিউসার এসোসিয়েশান অব বাংলাদেশ এর সদস্য ও স্বাধীনতা সাংস্কৃতিক ফোরামের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক।
জানা যায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কয়েকদিন আগে নিজ গ্রামের বাড়িতে আসেন শিমুল সরকার। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন রাতে গ্রামের সরেরহাট বাজারে বসে ছিলেন। এ সময় বাইকে করে আসা সন্ত্রাসীরা রড,চাপাতি ও চাইনিচ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে পিটিয়ে জখম করে।
এ ঘটনায় ছোট ভাই ফরহাদ হোসেন বাদি হয়ে উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের শাহিনুর রহমান, হাফিজুর রহমান, মাসুম হোসেন, সরেরহাট গ্রামের শফিকুল ইসলাম, খায়েরহাট গ্রামের রিংকু হোসেন ও লালপুর উপজেলার দুড়দুড়ি গ্রামের আরিফুল ইসলামসহ অজ্ঞাত ৫/৬জনকে আসামী করে বাঘা থানায় মামলা করেন। হাফিজুর রহমান বাদে পাঁচজনই জামিন নিয়েছেন।
১৭ জানুযারি বাঘার শাহদৌলা সরকারি কলেজের মাঠে আবারো তাকে হামলার চেষ্টা করে জামিনে আসা আসামীসহ কয়েকজন তরুণ। তাকে বাঁচাতে গিয়ে সঙে থাকা একজন আহত হয়। এ বিষয়ে বাঘা থানায় পৃথক দু’টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গত মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় সচেতন নাগরিকের ব্যানারে দাদপুর-গড়গড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়,আসামীদের বেশির ভাগই ইমো হ্যাকার ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত এবং হাফিজ ও শাহীন নিজেকে পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে তারা এলাকায় ইমো হ্যাকার এবং মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট পরিচালনা করে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া প্রভাষক জিয়াউল হক বাবুল জানান, সন্ত্রাসী হামলার বিচার ও মাদক,ইমো হ্যাকিং মুক্ত সমাজ গঠনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান চান্দু, গড়গড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি সুমন আহমেদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সানোয়ার হোসেন সুরুজসহ শিমুল সরকার নিজেও লাঠিতে ভর দিয়ে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪ | সময়: ৭:১৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর