রাজশাহীর শীতের কাপন, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামল ৭.৮ ডিগ্রি

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শীতের তীব্রতা বাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। ফলে স্কুলে ক্লাস করতে আসা শিশুদের বাড়ি চলে যেতে বলেন শিক্ষকরা। তবে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান চলেছে।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের উচ্চ পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নামলে তাকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সে হিসাবে রাজশাহীতে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এর আগে ছিল মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
তিনি আরও বলেন, সোমবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ উঠেছিল ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে, গত রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গত ১৩ জানুয়ারি তাপমাত্রা নেমেছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে। এ জন্য গত দুদিন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ ছিল। তবে মঙ্গলবারের ব্যাপারে আগে থেকে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় রাজশাহীর তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসার পর রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইদুল ইসলাম স্কুলে পাঠদান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন। এর আগেই তীব্র শীত উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা স্কুলে গিয়ে উপস্থিত হয়। নির্দেশনা জানার পর তড়িঘরি করে শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা জানান শিক্ষকরা। প্রাথমিক বিদ্যালয় এভাবে ছুটি হলেও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান চলেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আসলে আবহাওয়ার বিষয়টি কখনো বেশি হচ্ছে আবার কখনো কমে যাচ্ছে। তাই সিন্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের নিজেদের মত সিদ্ধান্তও নিতে পারি না। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আগের দিন সোমবার আমরা আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম পাঠদানের জন্য। কিন্তু সকালে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় হঠাৎ করেই স্কুল ছুটি দিতে হয়েছে।’
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরাও আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তারা বলেছিলো ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নামবে না। তাই পাঠদান বন্ধর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এখন তাপমাত্রা নেমে গেছে। তারা যেভাবে আমাদের বার্তা দিচ্ছে সেইভাবে সিন্ধান্ত নিচ্ছি।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২৪ | সময়: ৫:০৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ