রামমন্দির উদ্বোধন ঘিরে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি

সানশাইন ডেস্ক: অযোধ্যায় আগামী ২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধন ঘিরে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। বিজেপি ওই দিন রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পূজা পাঠের আয়োজন করবে। অন্যদিকে, শাসকদল তৃণমূল আয়োজন করছে সম্প্রীতি মিছিলের। পিছিয়ে নেই বামেরা। তারাও নিয়েছে একাধিক কর্মসূচি।
যেদিন অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন হবে, সেদিন সকালে কলকাতার কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর কলকাতার রাজপথে সংহতি মিছিলে হাঁটবেন তৃণমূল নেত্রী। সব ধর্মের সব সম্প্রদায়ের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস ময়দান পর্যন্ত এই মিছিল হবে বলে জানালেন তিনি। মিছিল শেষে বক্তব্য রাখবেন মমতা। শুধু শহর কলকাতাতেই নয়, সেদিন গোটা রাজ্যজুড়ে সংহতির বার্তা নিয়ে এই সম্প্রীতি মিছিল করবে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, ২২ জানুয়ারি কলকাতার পাশাপাশি প্রত্যেক জেলায় প্রতিটি ব্লকে সবাইকে নিয়ে সম্প্রীতি মিছিল করবে তৃণমূল।
লোকসভা ভোটের আগে রাম মন্দির উদ্বোধন বিজেপির পালে কতটা হাওয়া দেবে, তা নিয়ে চর্চা চলছে বিভিন্ন মহলে। রাম মন্দির উদ্বোধন ঘিরে তৃণমূলের অবস্থান বেশ কিছুদিন আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তৃণমূলের বক্তব্য ছিল, ভগবান রামের প্রতি সবারই ভক্তি-শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু ভগবান রামকে ‘নির্বাচনের এজেন্ট’ হিসেবে ব্যবহারে আপত্তি তৃণমূলের। আর এবার তৃণমূল সুপ্রিমো ঘোষণা দিলেন, সেদিন কলকাতার রাস্তায় সম্প্রীতি মিছিল করবে তৃণমূল এবং সেই মিছিলে হাঁটবেন দলনেত্রী স্বয়ং।
রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে দেশজুড়েই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের একটা চেষ্টা চলছে। তা থেকে বাদ নাও পড়তে পারে এ রাজ্য। এমন আশঙ্কা করছে পশ্চিমবঙ্গের বামরা। আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা প্রচার চালাতে হবে মানুষকে সচেতন ও সজাগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন জেলা বামফ্রন্টের নেতৃত্বকে। যে সব এলাকায় অতীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়েছে, যে সব এলাকায় উগ্রতাকে ব্যবহার করতে চাইছে কোনও রাজনৈতিক দল, প্রচার কর্মসূচিতে সেই সব ক্ষেত্রে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশে দিয়েছেন রাজ্য বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। একইসঙ্গে নেতাজি থেকে গান্ধীজি, স্বাধীনতা আন্দোলনে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম নিয়ে প্রচারাভিযানের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি, মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুদিনেও রয়েছে একগুচ্ছ কর্মসূচি।
এদিকে বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য আবার পাল্টা আক্রমণ করে বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে একটি প্রতিযোগিতার আবহ তৈরি করার চেষ্টা চলছে। পরিকল্পিতভাবে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের দূরে সরিয়ে রাখার জন্য এই পদক্ষেপ। ব্লকে ব্লকে সম্প্রীতি মিছিল, এর অর্থ কী?’


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৪ | সময়: ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ