চারঘাট-বাঘায় সুবিধাজনক অবস্থানে নৌকার প্রার্থী

স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা: অসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার রাজশাহী-৬(চারঘাট-বাঘা) আসনে সুবিধা জনক অবস্তানে রয়েছে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এই দল থেকে ছয়জন মনোনয় প্রত্যাশী থাকলেও মনোনয়ন পেয়েছেন তিন বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও দুই বারের সফল পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর সর্ব প্রথম বাঘা মাজার জিয়ারত শেষে উপজেলা সহকারি রির্টানিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে প্রতিক বরাদ্দের পর থেকে তিনি প্রতিনিয়ত ছুটছেন ভোটারদের-দ্বারে-দ্বারে।
সরেজমিন লক্ষ করা গেছে, শুক্রবার রাজশাহী-৬ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রচারণা চালিয়েছেন বাঘা পৌর এলাকায়। তিনি জুমার নামাজ আদায় করেছেন বাঘার ঐতিহাসিক শাহী মসজিদে। এরপর মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে তিনি পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে গিয়ে ভোটারদের সাথে দেখা করেন। কোন কোন এলাকায় তিনি উঠান বেঠকে নারী থেকে শুরু করে সকল বয়সী মানুষের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।
তবে সর্বশেষ উঠান বৈঠক করেন বাঘা পৌর সভার ৬ নং ওয়ার্ড বাজুবাঘা নতুনপাড়া গ্রামে উৎসব পার্কের সামনে। সেখানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আমি গত একটানা ১৫ বছর এলাকায় অসংখ্য উন্নয়ন করেছি। আমার বিশ্বাস মানুষ তাদের নীতি নৈতিকতা থেকে চিন্তা করে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আবারও স্বাধীনতার প্রতিক নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন।
তিনি একই দল সমর্থীত মনোনয়ন বঞ্চিত সতন্ত্র প্রার্থী রায়হানুল হক রায়হানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনি এবার দিয়ে তৃতীয়বার নৌকার বিপরিদে সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন। তার সাথে রয়েছেন বাঘার দুই নেতা। তারাও দলীয় ফরম উত্তোলন করে ছিলেন। এর মধ্যে একজন আক্কাস আলী ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে আজকের সতন্ত্র প্রার্থী রায়হানুল হকের সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে বিএনপির প্রার্থী কবির হোসেনকে নির্বাচিত করতে সহায়তা করে ছিলেন। এক কথায় যারা নিজেদের আওয়ামীলীগ দাবি করে নিজের স্বার্থে অন্য প্রতিকে ভোট চাই, তারা আওয়ামী লীগের মঙ্গল চাইনা। তিনি এ সকল ঘটনা মনে রেখে সবাইকে উন্নয়ন পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট পার্থনা করেন।
এ সময় শাহরিয়ার আলমের সাথে উপস্থি ছিলেন, বাঘা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, জেলা আ’লীগের নেতা আজিজুল আলম, বাঘা পৌর আ’লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সরকার, সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন, তাঁর বড় সন্তান, সাবেক কাউন্সিলর সাহাবাজ আলী, আ’লীগ নেতা শহিদুল সরদার প্রমুখ।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩ | সময়: ৭:০৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ