সর্বশেষ সংবাদ :

রাজশাহী-৬ আসনে ৭ প্রার্থীর মধ্যে হলফ নামায় এগিয়ে শাহরিয়ার আলম

নুরুজ্জামান,বাঘা :

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৮ টি শর্ত পুরণ করে দেশের সকল প্রার্থীরা হলফ নামা জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে একটি শর্ত হলো বাৎসরিক আয়। এদিক থেকে রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনে যে ৭ প্রার্থী হলফনামার তথ্য জমা দিয়েছেন তার মধ্যে সর্বোচ্চ  বাংসরিক আয় দেখিয়েছেন চতুর্থবারের ন্যায় দলীয় মনোনয়র প্রাপ্ত নৌকার মাঝি ও বর্তমান সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ শাহরিয়ার আলম।

 

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে পাওয়া প্রার্থীদের হলফ নামায় জানা গেছে, ২০০৮ সালে এ চারঘাট-বাঘা আসনে শাহরিয়ার আলম প্রথম দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবার তিনি চতুর্থ বারের ন্যায় দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। ২০১৮ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল ৩ কোটি ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৮৮ টাকা। এখন বেড়ে হয়েছে ৭ কোটি ৯২ লাখ ৯১ হাজার ২৫৪ টাকা। ২০১৮ সালে নগদ ছিল ৬ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৭০৬ টাকা। বর্তমানে নগদ ও ব্যাংক হিসাব দেখানো হয়েছে ২১ কোটি ৪৫ লাখ ৪৯ হাজার ১৭৩ টাকা।

অপর দিকে শেয়ার বাজারে ৬৬ কোটি ৪১ লাখ ৩২ হাজার ৭০০ টাকা বিনিয়োগ করেছেন তিনি। এর আগে শেয়ার ছিল ৫৮ কোটি ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫০ টাকার। সে সময় সঞ্চয়পত্র ছিল ১০ লাখ। পরে এটি বেড়ে হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। পাঁচ বছর আগে তার গাড়ির দাম ছিল ৭৬ লাখ ৬৩ হাজার ৩১৫ টাকা। বর্তমানে লাক্সারি কারের দাম দেখানো হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ তিন হাজার ১০০ টাকা। ২০০৮ সালে তার নগদ টাকা ছিল ১ কোটি ৬৬ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৫ টাকা। ব্যাংকে ছিল ৪ হাজার ১৩৬ টাকা। কোম্পানির শেয়ার, কৃষি খাত, প্রতিমন্ত্রীর সম্মানি ও দোকান এবং অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়াকেও আয়ের উৎস হিসাবে দেখানো হয়েছে।

 

এদিকে ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার বাৎসরিক আয় দেখানো হয়েছিল ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮০৮ টাকা। বর্তমানে দুই ছেলে ও তার স্ত্রীর ব্যবসা থেকে আয় দেখানো হয়েছে ৬৬ লাখ ৪৮ হাজার ২৮৯ টাকা। দুই ছেলের নগদ ও ব্যাংক হিসাব দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৮৪ লাখ ২৬ হাজার ৭৩২ টাকা। এছাড়া স্বর্ণ দেখানো হয়েছে ১৭৫ ভরি, যার মূল্য ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

 

এই আসনে অন্যান্য ছয় প্রার্থীর মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী চারঘাট উপজেলার বাসিন্দার রায়হানুল হক রায়হান ২০১৪ সালের নির্বাচনে (নৌকার বিদ্রোহী) হিসাবে হলফনামায় বাৎসরিক আয় দেখিয়ে ছিলেন ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬৭৭ টাকা। তিনি ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারী নির্বাচনে তার বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন ৬ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। এ দিক থেকে ৯ বছরের তার আয় বেড়েছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩২৩ টাকা।

 

জাতীয় পার্টির সামসুদ্দিন রিন্টুর বাৎসরিক আয় দেখানো হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন তৃণমুল (বিএনএম) আবদুস সামাদের ব্যাংক হিসাব দেখিয়েছেন ১৩ লাখ টাকা। জাকের পার্টির রিপন আলীর বাৎসরিক আয় দেখানো হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-ইনু) জুলফিকার মান্নান জামীর বাৎসরিক আয় দেখানো হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা। তবে তার ব্যাংক হিসাব দেখানো হয়েছে ১২ লাখ ৬৬ হাজার ৬০০ টাকা। এনপিপি পার্টির মহসিন আলীর বাৎসরিক আয় দেখানো হয়েছে ২ লাখ টাকা।

 

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ইসি জানায়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ১২ এর দফা (৩খ) অনুসারে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল প্রার্থীকে মনোনয়ন পত্রের সাথে হলফনামার মাধ্যমে ৮টি তথ্য ও কোনো কোনো তথ্যের স্বপক্ষে সঠিক কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। এ সকল তথ্য প্রদানে যদি কেউ কারচুপি করে সেক্ষেত্রে তাঁর মনোনয়ন বাতিল বলে গন্য হবে। আর এটি নিশ্চিত করবেন জেলা রিটার্নিং অফিসার ।

প্রসঙ্গত রাজশাহী ৬ চারঘাট-বাঘায় মোট ৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে ছিলেন। এ দিক থেকে ৭ জনের মনোনয়ন বৈধ হিসাবে গন্য হয়েছে।

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৩ | সময়: ৭:৫১ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine

আরও খবর